সোশ্যাল মিডিয়াকেই করতে হবে ব্রিগেডের সমাবেশস্থল! দলীয় কর্মী সমর্থকদের প্রতি বার্তা সীতারামের
সোশ্যাল মিডিয়াকেই করতে হবে ব্রিগেডের সমাবেশস্থল! দলীয় কর্মী সমর্থকদের প্রতি বার্তা সীতারামের
করোনা আবহে রাস্তায় নেমে কেন্দ্র কিংবা রাজ্য বিরোধী আন্দোলনের কোনও কর্মসূচি নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সেই পরিস্থিতিতে সোশ্যাল মিডিয়াই ভরসা সিপিএম-এর। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই জনমত গড়ে তুলতে হবে। এমনটাই জানিয়েছে সিপিএম-এর কেন্দ্রীয় কমিটি। সেই অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে তাদের শাখাকে তা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে।
ভার্চুয়াল বৈঠকে সিপিএম-এর কেন্দ্রীয় কমিটি
করোনা আবহে দিল্লি যাত্রা ঝুঁকি নিতে নারাজ সিপিএম-এর নেতারা। এছাড়াও কেন্দ্রীয় কমিটির অনেক নেতাক বয়স হয়েছে। তাই বাধ্য হয়েই ভার্চুয়াল বৈঠক। দুদিনের ভার্চুয়াল বৈঠক সমাপ্ত হয়েছে। তবে করোনার জেরে আপাতত স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে, নিচুতলার সব সম্মেলন। দলের সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি তা জানিয়ে দিয়েছেন।
সোশ্যাল মিডিয়াকেই করতে হবে ব্রিগেডের সমাবেশস্থল
সাধারণভাবে দেখা গিয়েছে, সিপিএম-এর নেতা কর্মীরা দিনে এক আধটা টুইট করেন, কিংবা ফেসবুক পোস্ট করে থাকেন। কিন্তু কোনওভাবেই তাঁদেরকে বিজেপি কিংবা তৃণমূলের সঙ্গে সঙ্গে তুলনা করা যায় না। সিপিএম-এর কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশ সোশ্যাল মিডিয়াকেই করতে হবে ব্রিগেডের সমাবেশস্থল। রাজ্যবাসীর সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অস্তিত্বের সংকট হতে পারে
বিজেপি ও তৃণমূল ইতিমধ্যেই ডিজিটাল প্রচার যুদ্ধ শুরু করে দিয়েছে। দলের শীর্ষ নেতারা ভার্চুয়াল সভাও করে ফেলেছেন। সেই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় কমিটির সতর্কবার্তা, করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যের জনগণের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লে বিধানসভা নির্বাচনের আগে, তাদের আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। এক কথায় ডিজিটাল যুদ্ধে না নামলে অস্তিত্বের সংকট দেখা দেবে।
কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে কেরল ও রাজস্থান নিয়ে আলোচনা
সূত্রের খবর অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে কেরল ও রাজস্থান নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাদের অভিযোগ রাজস্থানে কংগ্রেস সরকারের পাশে থাকলেও কেরলে সোনার পাচার মামলায় কংগ্রেস বিজেপির সঙ্গে মিলে ষড়যন্ত্র করছে। তবে কেরলে সোনা পাচার কাণ্ডে এনআইএ তদন্তে সবরকমের সাহায্য করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
উচ্চপ্রযুক্তির করোনা ল্যাবের উদ্বোধনে মোদী! হাজির থাকবেন মমতা-সহ একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা