আরএসএস-কে ‘আশ্রয়’ করতে চাইছে সিপিএম! ঠেলায় পড়ে জাত শত্রুই এখন ‘বন্ধু’
শত্রুর শত্রু আমার বন্ধু। রাজনীতিতে এই প্রবাদবাক্যের চল রয়েছে। আবারও সেই প্রবাদবাক্যকেই সত্যি করতে চলেছে সিপিএম।
শত্রুর শত্রু আমার বন্ধু। রাজনীতিতে এই প্রবাদবাক্যের চল রয়েছে। আবারও সেই প্রবাদবাক্যকেই সত্যি করতে চলেছে সিপিএম। সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র এখন পার্টিকে জনমুখী করতে আরএসএসের উদাহারণ টেনে ধরছেন সমস্ত কর্মিসভায়। তিনি পার্টিকর্মীদের উদ্দেশ্যে আরএসএসের ধাঁচে সংগঠন গড়ে তুলতে বলছেন। যে সিপিএম পার্টি সবথেকে সঙ্ঘবদ্ধ পার্টি হিসেবে চিহ্নিত হত, তার এমন হাল যে, এখন আরএসএসকে দেখে শিখতে বলতে হচ্ছে।
এই আরএসএস, এই বিজেপিই ছিল সিপিএমের জাতশত্রু। এখন তৃণমূল-ঝড়ে সিপিএমের এমনই হাল হয়েছে, বিজেপি-আরএসএসের সঙ্গে শত্রুতা উধাও। বরং বরং তলে তলে 'বন্ধু' হয়ে উঠছে আরএসএস ও সিপিএম। সিপিএম যখন একেবারে তলানিতে পৌঁছে গিয়েছে, তাদের জায়গা হু-হু করে দখল করে নিচ্ছে গেরুয়া শিবির, তখন সেই গেরুয়া শিবিরের মাদার সংগঠন আরএসএসের সংগঠনকে পথিকৃত করে এগোতে চাইছে সিপিএম।
তবে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র কিন্তু পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, আরএসএস সংগঠনের ধাঁচে তাঁদের সংগঠন তৈরি করতে হবে। কখনই আরএসএসের মতাদর্শের সঙ্গে সহমিল রেখে নয়। বরং তিনি বলেছেন, আরএসএসের মতো সংগঠন গড়ে বিষের বদলে অমৃত পৌঁছে দিতে হবে জনতার মাঝে। আরএসএস বিষ ছড়াচ্ছে। আমরা ছড়াব অমৃত। কিন্তু সংগঠনকে মজবুত করতে হবে ওদের ধাঁচে। তবেই শত্রুর মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।
তিনি এদিন প্রথমে শত্রু বলে ব্যাখ্যা করেন তৃণমূল কংগ্রেসকে। শক্র হিসেবে ব্যাখ্যা করেন আরএসএস-বিজেপিকেও। সম্প্রতি এক কর্মিসভায় এই মন্তব্য করেন সূর্যকান্ত মিশ্র। দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, প্রতিটি স্তরে কর্মীদের নামিয়ে কাজ করতে হবে। জনসংযোগ গড়ে তুলতে হবে। অনেক বাধা আসবে, তা বলে পিছপা হলে হবে না।
তিনি এ প্রসঙ্গেই বলেন গোপনে সংগঠন গড়ে তুলতে হবে। যেমনভাবে আরএসএস সংগঠন গড়ে তুলেছে, তাদের ধাঁচেই সিপিএমকে সংগঠন গড়তে হবে। আর একইসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করতে হবে। নিজেদের হাইটেক প্রচারের আওতায় না নিয়ে গেলে মানুষের কাছে এখন পৌঁছনো যাবে না।