‘জিরো’ থেকে শুরু করল সিপিএম, ছাত্র-যুবদের সামনে রেখে একুশের নির্বাচনে তীক্ষ্ণ নজর
‘জিরো’ থেকে শুরু করল সিপিএম, ছাত্র-যুবদের সামনে রেখে একুশের নির্বাচনে নজর
সিপিএম ৩৪ বছর ধরে ক্ষমতায় ছিল এই বাংলায়। তারপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পরিবর্তন আসে। দশ বছর পর ফের ক্ষমতায় ফিরতে সিপিএম তাঁদের আন্দোলনে সামিল করতে চাইছে ছাত্র-যুবদের। সেইসঙ্গে সিপিএম চাইছে আরও ডিজিটাল-ফ্রেন্ডলি হয়ে উঠতে। এই লক্ষ্যে তাঁরা ভরসা করছে ছাত্র-যুবদের উপরই।
নেপথ্যে কাজ করেছে সিপিএমের ছাত্র-যুবরা
রাজ্যে করোনা ও আম্ফান একইসময় জোড়া বিপর্যয় ঘটে গিয়েছে। করোনার হুল থেকে এখনও নিস্তার নেই। এই পরিস্থতিতে সিপিএম চাইছে ছাত্র-যুবদের সামনে রেখে নিজেদের দলকে পুনরুজ্জীবন লাভ করাতে। সেই লক্ষ্যেই গত তিন মাস ধরে সিপিএম আন্দোলনের সাথে সংযুক্ত করার জন্য ছাত্র সম্প্রদায়কে আহ্বান জানাচ্ছে।
ছাত্র-যুবদের সামনে রেখে সিপিএম ময়দানে
প্রাথমিকভাবে বলাই যায় সিপিএম এই তিনমাসের পিরিয়ডে দারুন কাজ করেছে। মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। ছাত্র-যুবদের কাজে লাগিয়ে জনসংযোগ অনেক বাড়িয়ে নিয়েছে। ডিজিটাল মাধ্যমকে ব্যবহার করে ছাত্র-যুবদের সামনে রেখে সিপিএম ময়দানে নেমেছে ২০২১-কে লক্ষ্য করেই। যেভাবে হোক প্রাসঙ্গিকতা ফিরে পাওয়া সিপিএমের লক্ষ্য।
অনেক পুরনো সঙ্গী দলে ফিরে এসেছেন
তিন মাস পরে শুক্রবার সিপিআইএম তার পর্যালোচনা সভা করে। সেখানে চমকপ্রদ সাফল্য লাভ করা গিয়েছে বলে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন নেতারা। এই আন্দোলনে সামিল হতে অনেক পুরনো সঙ্গী তাঁদের দলে ফিরে এসেছেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। মানুষ আবার সিপিএম করছে, বাম ট্রেড ইউনিয়নগুলিতেও সামিল হচ্ছে।
প্রচারে নয়, মানুষের পাশে সিপিএম
তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে একযোগে তাঁরা আন্দোলনে নেমেছে। সেই অবিযানেই দেখা গিয়েছে লাল পতাকা ফের প্রতিবাদ আর প্রতিরোধের প্রতীক হয়ে উঠেছে। তাঁরা জনে জনে ত্রাণ বিলি করেছে। মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। তাঁরা ব্যক্তিগত প্রচারের চেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁরা মানুষকে সহায়তা করাকেই বেশি প্রাধান্য দিয়েছে।
চিকিৎসা থেকে ক্লাস সবই ডিজিটালে
লকডাউন শেষে শীঘ্রই সিপিএম যুব ব্রিগেড প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষদের জন্য অনলাইন চিকিৎসা সহায়তা শুরু করে। রাজধানী কলকাতায় বসে থাকা চিকিৎসক ফোনে দরিদ্র পটভূমির লোকদের চিকিৎসা সহায়তা দেন। রাজ্যের গ্রামাঞ্চলে যাঁরা বেসরকারি স্কুলে যেতে পারেনি, এমন শিশুদের জন্য উন্মুক্ত ক্লাস চালাত তরুণ বাম ব্রিগেড।
প্রাসঙ্গিকতা ফিরে পেতে জিরো থেকে শুরু
লকডাউনের সময় লোকেদের স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে বলেছিল সবাই, কিন্তু তা কতটা ব্যয়বহুল, কোথায় পাওয়া যাবে, কীভাবে ব্যবহার করবে, তা ডিজিটাল মাধ্যমের সহায়তায় জানিয়েছে বাম ছাত্র-যুবরা। বামফ্রন্ট ফের প্রাসঙ্গিকতা ফিরে পেতে এভাবেই জিরো থেকে শুরুর পরিকল্পনা নিয়েছে। ফিরে গিয়েছে একেবারে শিকড়ে।
উন্নয়ন মাপকাঠিতেই কিস্তিমাত করার উদ্যোগ মমতার! একুশের লক্ষ্যে অভিযান শুরু তৃণমূলে