তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলাতে আপত্তি নেই বৃহত্তর স্বার্থে, তন্ময়ের পর সওয়াল কান্তিরও
সিপিএম বিধায়ক তম্ময় ভট্টাচার্য আগেই তৃণমূলের সঙ্গে একসঙ্গে চলতে তাঁরা আপত্তি নেই বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন। এবার একই কথার প্রতিধ্বনি সতীর্থ সিপিএমের প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখেও।
সিপিএম বিধায়ক তম্ময় ভট্টাচার্য আগেই তৃণমূলের সঙ্গে একসঙ্গে চলতে তাঁরা আপত্তি নেই বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর মতে বিজেপিকে রুখতে তৃণমূল এবং সিপিএম পাশাপাশি চলতেই পারে। এবার একই কথার প্রতিধ্বনি সতীর্থ কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখেও। তিনি বলেন, আদর্শগতভাবে আমরা আলাদা হয়েই পারি, কিন্তু নির্দিষ্ট কোনও ইস্যুর ভিত্তিতে একসঙ্গে চলা যেতেই পারে।
প্রাক্তন সিপিএম মন্ত্রীর মুখে এই কথায় রাজনৈতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। সেসব আমল না দিয়ে কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় মনে করেন, দেশের স্বার্থে, দশের স্বার্থে বৃহত্তর কথা চিন্তা করে তৃণমূলের সঙ্গে একসঙ্গে আন্দোলন করা যেতেই পারে। তাতে দোষের কিছু নেই। আমরা আদর্শগতভাবে আলাদা হলেও বাংলার ভালোর লক্ষ্যে এভাবে ভাবতেই পারি।
কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের এই কথায় সিপিএম খানিক অস্বস্তিতে পড়েছে। সম্প্রতি তন্ময় ভট্টাচার্য তৃণমূলের সঙ্গে জোট বাঁধা নিয়ে সওয়াল করেছিলেন। তারপর তাঁকে ঘুরিয়ে নাক দেখিয়েছিল সিপিএমে রাজ্য কমিটি। এক বিবৃতি জারি করে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, দলীয় কর্মীদের সাম্প্রদায়িক শক্তির হাত শক্ত হতে পারে এমন কোনও পদক্ষেপ নিতে তিনি নিষেধ করেছেন।
সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য তন্ময় ভট্টাচার্য বলেন, রাজনীতিতে কেউ অস্পৃশ্য নয়। বিজেপিকে ঠেকাতে দরকারে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পাশে দাঁড়তেও রাজি। তন্ময়বাবু আরও বলেন, দলের আগে দেশ বড়। এই কথাকে দলের আদর্শবিরোধী বলে দাবি করছে সিপিএম নেতাদের একাংশ। এবার কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্যও তন্ময়বাবুকে সমর্থন করে গেল।