লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট! সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলেও ছাড়া হবে না আসন
আসন্ন লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নিয়ে রাজ্য কমিটির প্রস্তাবকেই মান্যতা দিল সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি। জোটের পক্ষে সহমত ব্যক্ত করে জানাল কেন্দ্রীয় কমিটি।
আসন্ন লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নিয়ে রাজ্য কমিটির প্রস্তাবকেই মান্যতা দিল সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি। জোটের পক্ষে সহমত ব্যক্ত করে কেন্দ্রীয় কমিটি সাফ জানিয়ে দিল, জোট হবে কংগ্রেসের সঙ্গে, তবে জেতা আসন হাতছাড়া করা যাবে না। জেতা আসন রেখে, যে সমস্ত আসনে কংগ্রেস বা সিপিএম দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে, সেই আসন তারা প্রার্থী দেবে।
জোট পাক্কা যে সমীকরণে
সোমবার নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে একপ্রকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে গেল। রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হবে কোন সমীকরণে তা পাক্কা। এখন কংগ্রেস যদি এই শর্ত মেনে নেয়, তাহলে জোটের আরও কোনও বাধা থাকবে না। একইসঙ্গে এদিন রাজ্যের বিভিন্ন আসনে প্রার্থী তালিকাতেও সবুজ সংকেত দিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি।
একে-দুইয়ের শর্ত, মানলে জোট
কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গঠনে সিপিএম লড়াই মুর্শিদাবাদ ও রায়গঞ্জ আসন নিয়ে। উভয় দলই এই দুই আসনে প্রার্থী দিতে চাইছে। নিজেদের মতো করে তার সমর্থনে যুক্তি খাঁড়া করছে। উল্লেখ্য, দুটি আসনের গতবার সিপিএম প্রার্থীরা জয়ী হয়েছিল, কংগ্রেস পেয়েছিল দ্বিতীয় স্থান।
উভয়েই দাবিদার প্রার্থীপদে!
মুর্শিদাবাদে বর্তমান সাংসদ সিপিএমের বদরুদ্দোজা খান। তাঁকেই ফের প্রার্থী করতে চাইছে সিপিএম। একইভাবে রায়গঞ্জে মহম্মদ সেলিমকে টিকিট দিতে মরিয়া সিপিএম। প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির খাসতালুক বলে পরিচিত এই আসনে কংগ্রেসের দীপা প্রার্থী হওয়ার দাবিদার। কিন্তু গতবার সিপিএম প্রার্থীর কাছে হেরে যাওয়ায় এবার এই আসন নিয়ে দ্বন্দ্ব জারি থেকেছে।
কংগ্রেসকে ছাড়া যাবে না
এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় কমিটি সাফ জানিয়ে দিল কোনওভাবেই এই দুই আসন কংগ্রেসকে ছাড়া যাবে না। সিপিএমের জেতা দুটি আসনে প্রার্থী দিতে না পারলে কর্মীদের কোনও যুক্তি দিয়ে বোঝানো যাবে না। আর অন্য যে সমস্ত আসনে তাঁরা দ্বিতীয় স্থানে আছে, সেই আসনেও তাঁরা প্রার্থী দিত মরিয়া। কংগ্রেস যেখানে বিজয়ী, সেখানে কংগ্রেস প্রার্থী দিক, দ্বিতীয় স্থানে থাকা আসনগুলিতেও প্রার্থী দিক।