মিশন পঞ্চায়েতে লক্ষ্যে স্থির সিপিএম, বাংলায় সুদিন ফেরাতে এবার মাস্টারস্ট্রোক
একুশের নির্বাচনে বাংলার বিধানসভায় মুছে যাওয়ার পর ফের শূন্য থেকে শুরু করেছে লাল পার্টি সিপিএম। সাফল্যের সরণিতে ফিরে আসলে সময় বুঝে মাস্টারস্ট্রোক দিল তারা। সম্প্রতি উপনির্বাচন ও পুর-নির্বাচনে সাফল্যের রাস্তার খোঁজ মিলেছে।
একুশের নির্বাচনে বাংলার বিধানসভায় মুছে যাওয়ার পর ফের শূন্য থেকে শুরু করেছে লাল পার্টি সিপিএম। সাফল্যের সরণিতে ফিরে আসলে সময় বুঝে মাস্টারস্ট্রোক দিল তারা। সম্প্রতি উপনির্বাচন ও পুর-নির্বাচনে সাফল্যের রাস্তার খোঁজ মিলেছে। এবার সেই রাস্তাতেই হেঁটে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সফল হতে উদগ্রীব সিপিএম। সেইমতোই গেমপ্ল্যান সাজিয়ে ময়দানে নেমে পড়েছেন বামপন্থীরা।
রাজ্যে ৩৪ বছর ক্ষমতায় থাকার পর তৃণমূলের কাছে হেরে জন সমর্থন ক্রমেই তলানিতে পৌঁছেছে সিপিএমের। ২০১৬ সালের নির্বাচনে তৃণমূলের কাছে দ্বিতীয়বার হারের পর তাঁরা দ্রুত পিছেয় পড়েছে। তাঁদের জায়গা পূরণ করতে বিজেপি এন্ট্রি নিয়েছে বাংলায়। বিজেপি অচিরেই হয়ে উঠেছে রাজ্যে তৃণমূলের প্রধান প্রতিপক্ষ। অন্তত ২০১৯ ও ২০২১-এর নির্বাচনী ফলাফল সেই বার্তাই দেয়।
২০২১-এর পর বিজেপি আবার পিছু হটতে শুরু করে কিছু ক্ষেত্রে বিজেপিকে সরিয়ে সিপিএণ দু-নম্বরে উঠে এসেছে। আবার চন্দননগরের মতো জায়গায় তৃণমূলকে হারিয়ে পুর-নির্বাচনে জয়ীও হয়েছে সিপিএম। বালিগঞ্জের উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীকে লড়াইয়ের মুখে ফেলে দিয়েছিল সিপিএমই। ফলে সিপিএম অক্সিজেন পেয়ে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে বাংলায়।
সেইমতো আসন্ন পঞ্চায়েতের আগে সিপিএম বৃহত্তর শক্তি হয়ে ওঠার চেষ্টা চালাচ্ছে। তৃণমূল ইত্যবসরে দুর্নীতির অভিযোগে ক্ষতবিক্ষত হয়ে উঠেছে। তাদের দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জেলে যেতে হয়েছে। জেলে যেতে হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের মতো দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতাকে। আরও অনেকের বিরুদ্ধে কেলেঙ্কারির দাগ লেগেছে। এই অবস্থায় দুর্নীতিকে ইস্যু করতে চাইছে সিপিএম।
সিপিএম সম্প্রতি 'পাহারায় পাবলিক' নামে একটি কর্মসূচিতে নেমেছিলেন। সেখানে কোন নেতা কত সম্পত্তি বাড়িয়েছে তা সামনে আনাই ছিল উদ্দেশ্য। তারপর পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন এক কর্মসূচি নেয় সিপিএম। 'নজরে পঞ্চায়েত' নামে এই কর্মসূচি রূপায়ণের পরিকল্পনা করা হয়। শাসক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে একটি বিশেষ নম্বরে ফোন করে জানানোর কথা বলা হয়।
সম্পূর্ণ গোপন থাকবে ওই অভিযোগ। অভিযোগ পেয়ে দলের তরফে খতিয়ে দেখা হবে সত্যতা। সত্যতা যাতাই করার পর পদক্ষেপ করা হবে। প্রশাসনিক পদক্ষেপ, রাজনৈতিক পদক্ষেপের পর আদালতের দ্বারস্থও হবেন তাঁরা। এভাবে পঞ্চায়েতে পঞ্চায়েতে তৃণমূলের দুর্নীতি প্রকট করে প্রচারে আনবেন। এবং মুখোশ খুলে দেবেন তৃণমূল নেতাদের। সম্প্রতি দলের তরফে এই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়েছে। দলের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে ফোন নম্বর প্রকাশ করা হয়েছে। ০৩৩-৪১৮০৭৫০৬ নম্বরে ফোন করে পঞ্চায়েতে পঞ্চায়েতে দুর্নীতির অভিযোগ করা যাবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এই রণকৌশল নিয়েছে সিপিএম।
১২ ঘণ্টার মধ্যে দু’বার তলব, সাতঘণ্টা জেরায় ১৫টি প্রশ্নবাণ সামলে বেরোলেন অভিষেক-শ্যালিকা