পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে বাংলা, জনভিত্তি গড়তে তাই দুয়ারে অভিযান সিপিএমের
বাংলার পরিবর্তনের আভাস মিলেছে। তাই এবার জনভিত্তি গড়ে তুলতে চাইছে সিপিএম। এবার বৃত্তের বাইরে বেরিয়ে জনসংযোগ গড়ে তোলার প্রয়াস শুরু করতে চাইছে সিপিএম তথা বাম নেতৃত্ব।
বাংলার পরিবর্তনের আভাস মিলেছে। তাই এবার জনভিত্তি গড়ে তুলতে চাইছে সিপিএম। এবার বৃত্তের বাইরে বেরিয়ে জনসংযোগ গড়ে তোলার প্রয়াস শুরু করতে চাইছে সিপিএম তথা বাম নেতৃত্ব। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পর বাংলার মানুষের সমর্থন ফিরে পেতে সিপিএমের এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুয়ারে দুয়ারে যাওয়ার।
পরিবর্তনের সরকারের পরিবর্তনের ইঙ্গিত পেয়েছে সিপিএম
২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বামফ্রন্ট তথা সিপিএম বিরাট জয় পাওয়ার পর থেকেই সমর্থন হারাতে থাকে। পাঁচ বছরের মধ্যেই বাংলায় ঘটে যায় মহা পরিবর্তন। ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটে প্রতিষ্ঠিত হয় মা-মাটি-মানুষের সরকার। কিন্তু সেই মা-মাটি মানুষের সরকার ১০ বছরের মধ্যেই সমর্থন খুইয়ে ফেলেছে বলে মনে করছে বামেরা।
হারিয়ে যাওয়া জনসমর্থন ফেরাতে উদ্যোগ সিপিএমের
এই পরিস্থিতিতে হারিয়ে যাওয়া জনসমর্থন আদায় করতে এবার বৃত্তের বাইরে বের হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে বামফ্রন্ট। পাশাপাশি যুব সমাজের কাছে যাওয়ারও প্রক্রিয়া শুরু করেছে বামেরা। সেই লক্ষ্যে শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্কে আগামী ১৯ নভেম্বর একটি জনসভার আয়োজন করেছে সিপিএম। এই জনসভায় বক্তৃতা দেবেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, যুব নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় প্রমুখ।
যুব সমাজের কাছে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু সিপিএমে
সিপিএম চাইছে, এই জনসভাকে সর্বশক্তি প্রয়োগ করে ঐতিহাসিক জনসভায় পরিণত করতে। জেলা সিপিএম ইতিমধ্যেই বাড়ি বাড়ি লিফলেট বিলি করা শুরু করেছে। যুবকর্মীদের সঙ্গে বসে চায়ের আড্ডা, প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে যুব সমাজের কাছে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বাম নেতা-কর্মীরা। সোমবার শিলিগুড়ির হিলকার্ট রোডে বামফ্রন্টের জেলা কার্যালয় অনিত বিশ্বাস ভবনে এক সাংবাদিক বৈঠক করে সিপিএম।
সিপিএম আবার জেগে উঠছে সেলিম-মীনাক্ষীদের নেতৃত্বে
সিপিএমের জেলা সম্পাদক সমন পাঠক, আহ্বায়ক জীবেশ সরকার, প্রাক্তনমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্যরা ছিলেন এই সাংবাদিক বৈঠকে। অশোক ভট্টাচার্য বলেন, আমরা বাংলায় একটা রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তন লক্ষ্য করছি। সিপিএমের জনসভায় হাজার হাজার মানুষ শামিল হচ্ছেন। মহম্মদ সেলিম ও মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সিপিএম আবার জেগে উঠছে।
ত্তের বাইরে বেরিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে সিপিএম
সিপিএমকে নিয়ে মানুষের মধ্যে ফের উৎসাহ দেখা যাচ্ছে। সেই জন্য আমরা পথসভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। একটা কার্ড লিস্ট করে বামমনস্ক মানুষের কাছে জনসভায় অংশগ্রহণ করার জন্য আবেদন জানাচ্ছি। বুদ্ধিজীবীদের হাতে কার্ডটা তুলে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য। যুব সমাজের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করছি। শুধু পার্টির মধ্যে নয়, এবার বৃত্তের বাইরে বেরিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে যাচ্ছি আমরা।
বিজেপি ও তৃণমূল সরকারকে উৎখাতের প্রশ্নে সিপিএম
সিপিএম নেতৃত্বের কথায়, যদি পরিবর্তন আনতে হয় তাহলে শুধুমাত্র সিপিএম বা বামপন্থী মানুষদের একার পক্ষে হবে না। পার্টির বৃত্তের বাইরের মানুষদের কাছে যেতে হবে। যাঁদের মনে ক্ষোভ বা অসন্তোষ আছে, তাঁদের কাছেও যেতে হবে। এটা শুধুমাত্র পার্টি সমাবেশ নয়, এটা একটা জনসভা।" জীবেশ সরকার বলেন, "গোটা রাজ্যের রাজনীতির দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। দেশের রাজনীতির ক্ষেত্রেও পরিবর্তন হচ্ছে। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ও রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে উৎখাত করতে হবে।
জনগণকে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান
সিপিএম নেতাদের কথায়, তৃণমূল বা বিজেপি ভোটে জেতার জন্য যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, ক্ষমতায় আসার পর সেই প্রতিশ্রুতির বিপরীত পথে হাঁটছে৷ শুধু তাই নয়, ভয়ঙ্কর অরাজক অবস্থা তৈরি করেছে দেশ তথা রাজ্যেও। দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়া, মানুষের জীবনে বিপর্যয় নামিয়ে আনার কাজগুলো করছে। আমার কেন্দ্রীয়ভাবে জনগণকে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানাব জনসভা থেকে।"
ঝালদা পুরসভার আস্থা ভোটে স্থগিতাদেশ, কবে ভোট তাও জানিয়ে দিল হাইকোর্ট