মমতার তৃণমূলকে নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের অবস্থান ক্রমেই বদলাচ্ছে, দ্বিধাবিভক্ত সিপিএম
মমতার তৃণমূলকে নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের অবস্থান ক্রমেই বদলাচ্ছে, দ্বিধাবিভক্ত সিপিএম
একুশের নির্বাচনের পর ২০২৪-কে টার্গেট করেছে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছেন জোট-বার্তা। তারপরই তৃণমূল সম্পর্কে কংগ্রেসের অবস্থান বদল হচ্ছে। যা নিয়ে গভীর চিন্তায় পড়েছে সিপিএম। প্রথম কথা, বাম-কংগ্রেসের জোট-ভবিষ্যৎ কী হবে। তবে বামেদের একাংশ কংগ্রেসের এই অবস্থান বদলে নিয়ে উৎসাহিত।
অধীরের নমনীয়তায় সিপিএম পড়েছে চিন্তায়
সম্প্রতি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী, যিনি কট্টর মমতা-বিরোধী বলে পরিচিত, তিনিই এখন তৃণমূলের সঙ্গে জোট নিয়ে নমনীয়। সবকিছুই তিনি হাইকম্যান্ডের উপর ছেড়ে দিচ্ছেন। হাইকম্যান্ডের নির্দেশ মেনেই চলবে প্রদেশ কংগ্রেস, সেই বার্তা দিয়েছেন অধীর চৌধুরী। অধীরের এই মন্তব্যেই সিপিএম পড়েছে চিন্তায়।
কংগ্রেসের তৃণমূল-সখ্যতায় সিপিএম দু-ভাগ
প্রশ্ন উঠেছে, কংগ্রেস যদি তৃণমূলের সঙ্গে জোটের দিকে ঝোঁকে, তবে বাংলায় কী হবে বাম-কংগ্রেসের জোটের ভবিষ্যৎ। বাম-কংগ্রেস জোট কি থাকবে, সিপিএম কি কংগ্রেসের তৃণমূল-সখ্যতা মেনে নিতে পারবে? তা নিয়ে দুই মত সিপিএমের অন্দরে। এক পক্ষ বলছে, জোট ভাঙলে গুরুত্ব আরও কমবে। অন্য পক্ষ বলছে, জোট ভাঙলে পার্টিরই লাভ হবে। জোট ভাঙার দায় এককভাবে নিতে হবে না।
তৃণমূলের সঙ্গে জোট বর্তা স্পষ্ট করছ কংগ্রেস
একুশের নির্বাচনে বিপুল আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসার পর অধীর চৌধুরী বলেন, ভবানীপুরে উপনির্বাচন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিতে চান না তিনি। তারপর একুশে জুলাই মমতার ভার্চুয়াল সমাবেশে হাজির হয়ে জোট বার্তা আরও স্পষ্ট করে দেন পি চিদম্বরম-দিগ্বিজয় সিং।
কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের বিরোধিতা বাম-সিপিএমে
লোকসভার বাদল অধিবেশনেও কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের বোঝাপড়া দেখে চিন্তিত সিপিএম তথা বামেরা। ফলে আলিমুদ্দিনের চিন্তা বেড়েছে জোট নিয়ে। বিধানসভা নির্বাচনের পর কংগ্রেসের এই অবস্থান আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের দ্বন্দ্বকে প্রকট করে দিয়েছে। একপক্ষ কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের বিরোধিতা করে আসছেন অনেক দিন থেকেই। তাঁরা আবার সুর চড়িয়েছেন।
জোট ভাঙলে দলের মঙ্গল, মনে করে সিপিএমের একাংশ
বামেদের শরিক ফরওয়ার্ড ব্লক কিছুদিন আগেই বিদ্রোহ করেছিল জোটের বিরোধিতায়। তারা একা চলতেই বেশি পছন্দ করেন। সেই বার্তা বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুকে দিয়েছেন তাঁরা। তারপর সিপিএমের একাংশও মনে করে, কংগ্রেস ও আইএসএফের সঙ্গে জোট ভেঙে একলা চলতে। তাতেই দলের মঙ্গল হবে বলে মনে করেন সিপিএম নেতারা।