৯ বছর ক্ষমতার বাইরে থেকেই ‘আদর্শচ্যুত’ সিপিএম! আরএসএসকে মোক্ষম চ্যালেঞ্জ
এখনও অনিশ্চয়তার ঘেরাটোপে বিজেপি প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভা। কলকাতায় অমিত শাহের সভার জন্য সেনা অনুমতি পাওয়া গেলেও বাধ সেধেছে পুলিশ।
প্রায় নয় বছর ক্ষমতার বাইরে রয়েছেন কমিউনিস্টরা। এই ন-বছরেই দ্রুত প্রাসঙ্গিকতা হারাতে চলেছে ভারতের মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টি তথা সিপিএম। এতদিন এক আদর্শ নিয়ে ছিল তারা। কিন্তু ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেই আদর্শ থেকে তারা দূরে সরে আসছে। আরএসএসকে চ্যালেঞ্জ ছোড়ার বার্তাতেই নিয়ত সেই পদক্ষেপ।
সিপিএম তাদের অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদনে এবার মন্দির ও ধর্মস্থান নিয়ে অন্যরকম বার্তা দিয়েছে। তারা স্পষ্ট করেছে, মন্দির এবং অন্যান্য ধর্মীয় স্থানগুলি আরএসএস কিংবা আরএসএসের মতো বিভিন্ন সংগঠনের উপর ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে না। তারা চান এই সব ধর্মীয় স্থান কোনও ধর্মনিরপেক্ষ মনোভাবে বিশ্বাসী ভক্তবৃন্দের হাতে অর্পণ করতে।
সিপিএমের অভ্যন্তরীণ রিপোর্টে বলা হয়েছে, আরএসএস মন্দির এবং অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে তাদের আদর্শ ও হিন্দুত্ববাদী প্রচার চালাতে ব্যবহার করে। স্থানীয় দেবদেবীর মন্দিরগুলির সাথে সংযুক্ত উৎসবগুলিও তারা রাজনৈতিক প্রচারে আনছে পরিকল্পনা করে আর ধর্মী মেরুকরণ ঘটাচ্ছে।
ন্যায়সঙ্গতভাবে বলতে গেলে, কমিউনিস্ট পার্টি কয়েক দশক ধরে বুক স্টল এবং মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপনের মাধ্যমে মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য ধর্মীয় উৎসবকে এক প্ল্যাটফর্ম হিসাবে ব্যবহার করে আসছে। এই অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট অনুযায়ী, এবারই হিন্দুত্ববাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য মন্দির রাজনীতিতে ফিরতে চাইছে।
মন্দির চত্বরে স্থায়ী বুকশপ, মেডিকেল সেন্টার এবং জলের পরিষেবা স্থাপনের কথা বলা হয়েছে এই রিপোর্টে। অবশ্য কমরেডদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি করা হয়েছে সেখানে। তারা মনে করে, বৌদ্ধিক গবেষণা কেন্দ্রগুলিকে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে আদর্শিক লড়াইয়ের জন্য বুদ্ধিজীবী, ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বকে কমিটি গঠন করা উটিত।