মোদী-দিদি একই পাঠশালায় পড়েছেন, আলাদা শুধু চেহারায়! তোপ সেলিমের
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একই পাঠশালায় পড়ুয়া বলে কটাক্ষ করলেন সিপিএম সাংসদ মহম্মদ সেলিম।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একই পাঠশালায় পড়ুয়া বলে কটাক্ষ করলেন সিপিএম সাংসদ মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, 'দিদি বলছেন তেলে ভাজা বিক্রির কথা আর মোদী বলছেন পকোড়া বিক্রি করো। দুজনেই স্পষ্ট করে দিচ্ছেন, তাঁরা একই পাঠশালায় পড়েছেন। একই সিলেবাসে তাঁদের পড়ানো হয়েছে। প্রশ্ন কমন, উত্তরও এক। আলাদা শুধু ঝান্ডা। আর আলাদা চেহারা।'
[আরও পড়ুন:তৃণমূলে দাগি মুকুল ঢুকেছে বিজেপির লন্ড্রিতে! তবে মালটা একই আছে, তোপ দাগলেন সাংসদ ]
এর আগে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র দুই নেতা-নেত্রীকে একযোগে বিঁধেছিলেন। জানিয়েছিলেন রাজ্যের হনুমানদের বুকে লেখা রয়েছে দিল্লির রামেদের নাম। এবার সেলিমও বললেন মোদী-দিদি একই পাঠাশালায় পড়েছেন। ফলে ওঁরা আসলে একই। শুধু ঝান্ডায় আর চেহারায় একটু যা আলাদা।
যতদিন যাচ্ছে মানুষের কাছে সব ধরা পড়ে যাচ্ছে। দিদি বিপাকে পড়লেই দিল্লি ছোটেন। আর সঙ্গে সঙ্গে সমাধান হয়ে যায়। দিদি-মোদীর সেটিং হয়ে যায়। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি ছুটেছিলেন। গান্ধীর সার্ধশত জন্মবর্ষ পালনের বৈঠকে দিদির যোগদানব নিয়ে কটাক্ষ করে সিপিএম নেতৃত্ব।
এদিন
আবার
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়কে
একহাত
নিয়ে
সেলিম
অভিযোগ
করেন,
রাজ্যে
ক্রমবর্ধমান
অশান্তি
রুখতে
মুখ্যমন্ত্রী
কোনও
ব্যবস্থা
নিচ্ছেন
না।
রাজ্যে
২৮টি
দাঙ্গা
হয়েছে,
অথচ
একটি
দাঙ্গারও
তদন্ত
করেনি
সরকার।
একটি
তদন্ত
কমিশনও
গঠন
করা
হয়নি।
মুখ্যমন্ত্রী
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়
বড়াই
করে
বলেছিলেন
সাঁইবাড়ির
কমিশন
হবে,
মরিচঝাঁপির
কমিশন
হবে।
কিন্ত
কোথায়
কী!
কোনও
কমিশন
গঠন
হয়নি।
হয়নি
তদন্তও।
রাজ্যে
দাঙ্গায়
লোক
মরছে
আর
মানুষকে
ভাগাভাগি
করা
হচ্ছে।
পরিষ্কার
হয়ে
গিয়েছে,
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের
সরকার
কোনও
তদন্ত
করবেন
না,
কোনও
কমিশন
গঠন
করবেন
না।
কোনও
দোষীরও
খোঁজ
করবেন
না।
আর
কেউ
শাস্তিও
পাবে
না।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়কে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, 'মাথায় একটা হিজাব পরে ইফতার পার্টি করে মমতা মানুষকে বোকা বানান শুধু ভোটের স্বার্থে। শয়তান বুজরুকির জন্য যেমন ফেরেস্তার বেশ ধরে, তেমনই মানুষের সঙ্গে ঠগবাজি করছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের মানুষ সময় এলে যথাযোগ্য জবাব দেবেন।'