অগ্নিগর্ভ ভাঙড়ে আন্দোলনকারীদের পাশে সুজন, নিহত হাফিজুলের পরিবারকে আশ্বাস
শাসক দলের সন্ত্রাসের জেরে খুন হয়েছেন হাফিজুল মোল্লা নামে তরতাজা এক যুবক। এই অবস্থায় ভাঙড়ের আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়ালেন সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের দুদিন আগেও জ্বলছে ভাঙড়। নির্দল প্রার্থীদের নিয়ে কর্মী-সমর্থকদের মিছিলে বোমা-গুলি চালিয়ে খুন করা হয়েছে নির্দল সমর্থককে। অভিযোগ, শাসক দলের সন্ত্রাসের জেরে খুন হয়েছেন হাফিজুল মোল্লা নামে তরতাজা এক যুবক। এই অবস্থায় ভাঙড়ের আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়ালেন সিপিএম বিধায়ক তথা বিধানসভার বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী।
[আরও পড়ুন: আরাবুলের গ্রেফতারি কি আইওয়াশ! অগ্নিগর্ভ ভাঙড়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও উঠছে আঙুল]
শুক্রবার রাতেই ভাঙড়ের নতুন রাস্তার মোড়ে আন্দোলন ক্ষেত্রে যান তিনি। আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের এই নোংরা রাজনীতির নিন্দা করেন। যে জায়গা হাফিজুলের দেহ রেখে আন্দোলন চালাচ্ছিলেন আন্দোলনকারীরা, সেখানে দাঁড়িয়ে হাফিজুলের স্ত্রী ও পরিবারকে আশ্বাস দেন সুজনবাবু। তাঁদের পাশে থাকার কথা বলেন।
তিনি আন্দোলনকারীদের সুরে সুর মিলিয়ে দাবি করেন, হাফিজুল হত্যাকাণ্ডে যাঁদের নামে অভিযোগ উঠেছে অবিলম্বে তাঁদের গ্রেফতার করতে হবে। তৃণমূল কংগ্রেস ভোটে জেতার জন্য যেভাবে রক্তের বন্যা বওয়াতে চাইছে, তার বিরুদ্ধে প্রশাসনকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। এই ঘটনায় আমরা আন্দোলনকারীদের পাশে আছি। তৃণমূলের সন্ত্রাস রুখতে হবে। এভাবে হিংসার উৎসব চালানো যাবে না।
আন্দোলনকারীরা দাবি করেন, আরাবুল ইসলাম-সহ ১২ জনের নামে এফআইআর হয়েছে। অেই তালিকায় রয়েছেন আরাবুলের ছেলে হাকিমুল থেকে শুরু করে আরাবুলের ভাই খুদেও। দাবি উঠেছে, তাঁদের সবাইকে গ্রেফতার করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আরাবুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে ঠিকই, পুলিশ কিন্তু আরাবুল বাহিনীকেই পরোক্ষে সমর্থন করে গিয়েছে। তাই এখন আরাবুলকে সাজানো গ্রেফতার করে বাকিদের ছাড় দেওয়া আমরা মানব না
শনিবার ভাঙড়ের নতুন হাট থেকে শুরু করে রাস্তার মোড়ে মোড়ে দফায় দফায় অবস্থান বিক্ষোভ চলে। তারই মধ্যে ভেসে আসে বোমার আওয়াজ। হাফিজুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের পর তাঁর খুনিদের শান্তির দাবিতে এদিনও অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ভাঙড়। মোড়ে মোড়ে অবরোধ-বিক্ষোভ চলে। যতক্ষণ না বাকিদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, তাঁরা আন্দোলনের পথ থেকে সরবেন না বলে জানান।