বাংলার দুর্গাপুজোয় জনসংযোগই হাতিয়ার! পঞ্চায়েতের আগে বামদের টেক্কা বিজেপিকে
বাংলার দুর্গাপুজোয় জনসংযোগই হাতিয়ার! পঞ্চায়েতের আগে বামদের টেক্কা বিজেপিকে
বিজেপি যখন তৃণমূলকে টেক্কা দিতে ভাঙন জুজু দেখাচ্ছে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হচ্ছে তখন সন্তর্পণে জনসংযোগের রাস্তা নিয়েছে সিপিএম তথা বামফ্রন্ট। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে শূন্য হয়ে যাওয়ার পর নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোচ্ছে তারা। পঞ্চায়েতের আগে জনসংযোগকে হাতিয়ার করতে বাংলার দুর্গোৎসবকে বেছে নিল।
পার্টির ছাত্র ও যুবরা জনসংযোগে
বিশেষজ্ঞদের অভিমত, বামেরা পরিকল্পনা অনুযায়ী হেঁটে বিজেপিকে টেক্কা দিল। রাজ্যজুড়ে দুর্গাপুজোকর মণ্ডপে মণ্ডপে বুকস্টল তো হলই বরাবরের মতো, এবার ইয়ং ব্রিগেডকেও নামিয়ে দিল শারদ-মঞ্চে। পার্টির ছাত্র ও যুবরা আমজনতার সঙ্গে মিশে জনসংযোগ করার কাজ চালিয়ে গেলেন।
পুজোয় জোর দিয়েছেন জনসংযোগে
বাংলায় ক্ষমতা হারানোর পর জেলায় জেলায় আন্দোলনে খানিকটা ভাটা পড়েছিল। কিন্তু দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পর ফের ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে আন্দোলনের রাস্তা নিয়েচেন সিপিএম তথা বামপন্থীরা। সাম্প্রতিক পুরসভা নির্বাচন ও উপনির্বাচন থেকে অক্সিজেন পেয়ে এবার পুজোয় জোর দিয়েছেন জনসংযোগে।
নবীন-প্রবীণের মিলিত উদ্যোগ
ষষ্ঠী দিন থেকে রাজ্যজুড়ে এসএফাই-ডিওয়াইএফআই পুজোর ময়দানে নেমে পড়েছে। মণ্ডপে মণ্ডরে পার্টির বুকস্টল ছাড়িয়ে গিয়েছে ১০ হজার। ছাত্র-যুবরা এই কাজে অগ্রণী। দলের প্রবীণ নেতাদের নিয়ে এসে বুকস্তল উদ্বোধন করানো হয়েছে। বাগবাজার হোক বা কলেজস্ট্রিট, যাদবপুর বা বেলেঘাটা- বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু থেকে শুরু করে রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, সূর্যকান্ত মিশ্র, সুজন চক্রবর্তী, শ্রীদীপ ভট্টাচার্যরা উৎসাহিত করেছেন বাম ছাত্র-যুবদের উদ্যোগকে।
উৎসবের মরশুম কেটে গেলেই আন্দোলনে
তবে শুধু প্রবীণ নেতারাই নন, বর্তমান প্রজন্মের নেতা-নেত্রীরাও জনসংযোগ করেছেন চুটিয়ে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে গিয়ে তাঁরা নজর কেড়েছেন। বামেদের উপস্থিতি প্রতিটি পুজো মণ্ডপে রাজ্য রাজনীতিতে অন্য সমীকরণের আভাস দিতে শুরু করেছে। একইসঙ্গে সিপিএম তথা বামফ্রন্ট নেতৃত্ব বার্তা দিয়েছে, উৎসবের মরশুম কেটে গেলেই তাঁরা আন্দোলনে নামবেন। বিভিন্ন কর্মসূচি ধরে ধরে তাঁরা এগোবেন বাংলার রাজ্য রাজনীতিতে।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিজেপিকে টেক্কা
পুজো মিটলেই পঞ্চায়েতের দামাম বেজে যাবে রাজ্যে। তাই সেইমতো পরিকল্পনামফিক তাঁরা বিজেপিকে টেক্কা দিয়ে এগোতে চাইছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে সংগঠনক চাঙ্গা করাই সিপিএম তথা বামফ্রন্টের লক্ষ্য। সম্প্রতি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির যে খাঁড়া নেমে এসেছে, তা তুলে ধরে আন্দোলন চালাচ্ছে বিজেপিকে পাল্লা দিয়ে। সিপিএম সিজিও কমপ্লেক্স অভিযানে ভালো সাড়া ফেলেছিল। তারপর কলেজ স্ট্রিটে ছাত্র সমাবেশ ও ধর্মতলায় যুব সমাবেশও নজর কেড়েছিল। ফলে তাঁরা নির্দিষ্ট রণকৌশল নিয়ে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের আগে ঝাঁপাতে চাইছে বাংলায়। বিজেপি সেখানে পুজোয় জনসংযোগে ডাহা ফেল। হাতে গোনা কয়েকটা স্টল করেছে মাত্র।
কাশ্মীর জুড়ে উত্তেজনা, পাহাড়ি সম্প্রদায়ের তপসিলি উপজাতির মর্যাদা দিতে পারেন অমিত শাহ