সিপিএম থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে তারুণ্য! ২০২১ নির্বাচনের আগে সদস্যসংখ্যায় উদ্বেগ
সিপিএম থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে তারুণ্য! ২০২১ নির্বাচনের আগে সদস্যসংখ্যায় উদ্বেগ
পশ্চিমবঙ্গে ৯ বছর আগে পর্যন্ত বামেদের শাসন ছিল। ২০১১-তে ৩৪ বছরের শাসনের অবলুপ্তির পর মাত্র ৯ বথর কেটেছে। এরই মধ্যে সিপিএম ক্রমশ অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ছে বঙ্গ রাজনীতিতে। সিপিএমের পার্টি চিঠিতে উঠে এল, তরুণ প্রজন্ম মুখ ফিরিয়ে নেওয়াতেই ডুবছে সিপিএম। মাত্র তিন বছরে সিপিএম থেকে তারুণ্যের মুখ ঘুরে গিয়েছে বিজেপির দিকে।
তারুণ্যের সংখ্যা কমছে সিপিএমে
২০১৬ সালের বিধানসভাতেই বোঝা যায় সিপিএম দ্রুত সমর্থন হারাচ্ছে বাংলায়। ২০১৪ পর্যন্ত মোটামুটি ঠিক ছি্ল, সেই বিচারে ২০১৫ সাল থেকে সমর্থন হারাতে শুরু করে সিপিএম তথা বামফ্রন্ট। বিশেষ করে ১৮ থেকে ৩১ বছর বয়সীরা আর নতুন করে কেউ সিপিএমে আসছেন না। তাই নতুন সদস্যও বাড়ছে না।
সিপিএম তরুণ সমাজকে প্রভাবিত করতে ব্যর্থ
সম্প্রতি রাজ্য কমি্টির বৈঠকে সিপিএম এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তরুণ প্রতিনিধি কমে যাচ্ছে। তা নিরাময়ের উপায় কী, কেন সিপিএম তরুণ সমাজকে প্রভাবিত করতে পারছে না। তা নিয়ে আলোচনা হলেও, তা ফলপ্রসূ করার সময় কোথায়! আর মাত্র আট মাস বাকি নির্বাচনের, তার আগে এই হাল সিপিএমকে ছিটকে দিয়েছে লড়াই থেকে।
কমছে সিপিএমের সদস্য সংখ্যার গ্রাফ
২০১১ সালের আগে এই পার্টির তিন লাখেরও বেশি সদস্য ছিল। তবে ২০১৫ সালে এই সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ২.৬৬ লক্ষ এবং ২০১৮ সালে তা কমে দাঁড়ায় ১.৯৬ লক্ষে। পার্টির রাজ্য ইউনিটের নেতারা এই প্রবণতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। পার্টির সদস্য সংখ্যায় এই বিপুল পতনই তাঁদেরকে পিছিয়ে দিয়েছে বলে মনে করছে নেতৃত্ব।
সিপিএমে তরুণ সদস্যের পরিসংখ্যান একনজরে
সিপিএম নেতৃত্বের মধ্যে আরও উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে ৩১ বছরের কম বয়সী সদস্য সংখ্যা হ্রাস। ২০১৯ সালে ৯.০৯ ছিল ৩১ বছর বয়সী পর্যন্ত সদস্য সংখ্যা। তা বর্তমানে ৭.৬৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ২০১৫ সালে ৩১ বছর বয়স পর্যন্ত সদস্য ছিল ১৩.৫ শতাংশ। তরুণরা না এগিয়ে আসায় সিপিএম ঘুরে দাঁড়ানোর রসদ পাচ্ছে না।
সিপিএম অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নও করেনি এতদিন
সিপিএমের পুনরুত্থানের কোনও সম্ভাবনা দেখছে না রাজনৈতিক মহল। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন এবার পুরোপুরি তৃণমূল কংগ্রেস বনাম বিজেপির লড়াইয়ে পরিণত হতে চলেছে। কেননা সিপিএম তথা বাম দলগুলিতে তরুণ সমাজের প্রতিনিধিত্ব ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। সিপিএম আর সেভাবে অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নও করেনি তা নিয়ে। এখন সময় কমে এসেছে।
বিজেপি জায়গা নিয়েছে বাম-কংগ্রেসের শূন্যস্থানে
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে রাজ্যের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলার ৯ বছরের মধ্যেই সিপিএম অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ছে। আর এই শূন্যস্থান পূরণে দ্রুত উঠে এসেছে বিজেপি। তারা ইতিমধ্যেই প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। বাম-কংগ্রেস খাতায় কলমেই রাজ্যের বিরোধী দল। মাত্র দু-বছরেই তাঁদের জায়গায় নিজেদের অস্তিত্ব ফুটিয়ে তুলেছে বিজেপি।
সিপিএমের শূন্যস্থানে দ্রুত ঢুকে পড়েছে বিজেপি! ক্ষমতা হারানোর ৯ বছরেই অপ্রাসঙ্গিক