লালবাতি জ্বলল সিপিএমের পার্টি অফিসে, মার্ক্স-লেনিনের ছবি সরিয়ে বসত লক্ষ্মী-গণেশের
এখন আর সুদিন নেই লাল পার্টিতে। সুখের সেদিন গত হওয়ার পর এমনই দৈন্যদশা যে আস্ত পার্টি অফিসই ভাড়া দিয়ে দিল সিপিএম!
একটা সময় পাড়ার মোড়ে মোড়ে সিপিএমের পার্টি অফিসে পতপত করে উঠত লাল পতাকা। সারাক্ষণ জন সমাগমে গমগম করত পার্টি অফিস। এখন আর সুদিন নেই। সুখের সেদিন গত হওয়ার পর এমনই দৈন্যদশা যে আস্ত পার্টি অফিসই ভাড়া দিয়ে দিল সিপিএম! আর এই ঘটনা ঘটল সেই জেলায়, যে জেলা লাল-পার্টির দুর্গ বলে পরিচিত ছিল।
পূর্ব বর্ধমানের গুসকরার ঘটনা। একটা সময়ে এখানে লাল পার্টির নামে বাঘে-বলদে এক ঘাটে জল খেয়েছে। সেই গুসকরা টাউন লোকাল কমিটির পার্টি অফিসে ঝাড় লণ্ঠনটুকুও নিভে গেল। পার্টির দুর্দিনে নিজেদের পার্টি অফিস ভাড়া দিয়ে দিল সিপিএম। উল্লেখ্য, এক ব্যবসায়ীকে ওই পার্টি অফিসটি ভাড়া দেওয়া হয়েছে। ফলে একে একে মার্ক্স-লেনিনের ছবি সরে গিয়ে তার জায়গা দখল করে নিয়েছেন লক্ষ্মী-গণেশ।
কেন এই দুর্গতি সিপিএম পার্টির? সিপিএম পার্টির তরফে যুক্তি, সিপিএমের লোকাল কমিটিই তো তুলে দেওয়া হয়েছে, তাহলে পার্টি অফিসের আর কী গুরুত্ব। পার্টির তরফে সিদ্ধান্ত হয়েছে লোকাল কমিটি তুলি দিয়ে নতুন জোনাল কমিটি তৈরি হয়েছে। জোনাল কমিটির অফিস রয়েছে গুসকরায়। তাই একই জায়গায় তো দুটি অফিসের কোনও দরকার নেই। সেই কারণেই ওই পার্টি অফিস ভাড়া দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তবে বিরোধী মতও পোষণ করা হয়েছে। সিপিএম যে জেলায় একটা সময় রাজ করেছে, সেই জেলায় এখন পার্টি অফিস ভাড়া দিয়ে দেওয়ার অর্থ পার্টির কাজকর্ম শিকেয় উঠে যাওয়াও বোঝায়। জেলায় যে পার্টির ভিত একেবারেই বিনষ্ট হয়ে গিয়েছে, এই ঘটনা তা আরও একবার সামনে এনে দিল। সেইসঙ্গে প্রশ্ন উঠে গেল সিপিএমে কি তবে আর্থিক সংকট দেখা দিল? যার জন্য সাধের পার্টি অফিসও ভাড়া দিতে হল! রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে।