জোট সখ্য ঘুঁচেছে! পঞ্চায়েত ভোটকে মাথায় রেখে বড় ঘোষণা বামেদের
আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে আর জোট বেঁধে লড়তে আগ্রহী নয় বামেরা। হুগলিতে সভা করে সেরকমই ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।
আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে আর জোট বেঁধে লড়তে আগ্রহী নয় বামেরা। হুগলিতে সভা করে সেরকমই ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। রবিবার জেলা সম্মেলনের ভিড়ে ঠাসা মঞ্চে দাঁড়িয়ে সূর্য এই ইঙ্গিত দিয়েছেন।
অর্থাৎ কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর যে লড়াই বছর দুয়েক আগে শুরু হয়েছিল তাতে সম্ভবত ইতি পড়ে গেল। গত বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধেছিল বামেরা। শরিকদের আপত্তিকে গায়ে না মেখে সিপিএমের সূর্যবাবুরা জোট তৈরি করেন।
ভোটের ফলাফলের পরে দেখা যায় কংগ্রেস জোটের ফায়দা তুলে বেশি আসন পেয়ে বেরিয়ে গিয়েছে। পিছনে ফেলে গিয়েছে বামেদের। তারপর যতগুলি নির্বাচন হয়েছে, সবকটিতে বামেদের আসন তো কমেইছে, সঙ্গে শতাংশের বিচারে ভোটও কমেছে বিদ্যুৎগতিতে।
আর সেই দেখে ও সঙ্গে শরিক দলের অসন্তোষকে মাথায় রেখে অবশেষে পঞ্চায়েতের ভোটে অস্তিত্ব বজায় রাখতে নতুন লড়াইয়ে নামতে চাইছে বামেরা। সূর্য বলেছেন, তৃণমূলের বদলে বাংলার মানুষের একমাত্র বিকল্প বামেরাই। বামেরা আগামী ভোটে একা লড়বে। তবে যে কেন্দ্রে বামেরা দুর্বল সেখানে বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে কংগ্রেস বা অন্য দলকে সমর্থনের ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছেন সূর্যকান্ত।
হুগলির সভায় দাঁড়িয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে ফের একবার শিল্পায়নের প্রশ্নে তোপ দেগে সূর্যকান্ত বলেন, সিঙ্গুরে কারখানা হওয়ার পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই কারখানা গুড়িয়ে দিয়েছেন। গত সাতবছরে কতজন রাজ্যে চাকরি পেয়েছেন তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক।
পাশাপাশি বিজেপিকেও কটাক্ষ করে সূর্যকান্ত বলেন, আগে বিজেপি নেতারা মুকুল ভাগ বলে চিৎকার করত। এখন তাকে দলে নিয়ে নিয়েছে। সারা দেশে শিল্পের হাল বেহাল। মানুষ কাজ পাচ্ছেন না। জিএসটি হওয়ার পরে নরেন্দ্র মোদী সরকার ২ কোটি লোকের চাকরি দেওয়া নয়, চাকরি খেয়েছে বলে তোপ দাগেন তিনি। একমাত্র সিপিএমেই সাধারণ মানুষ। নেতা নির্বাচন করে বলে দাবি করে সূর্যবাবু তাদের পাশে মানুষকে দাঁড়ানোর আর্জি জানান।