ক্ষুব্ধ কমরেডদের লক্ষ্মণ শেঠের শিবির থেকে ফেরাতে চায় সিপিএম
আরও পড়ুন: পূর্ব মেদিনীপুরে কি আণুবীক্ষণিক দল হবে সিপিএম, জল্পনা তুঙ্গে
পূর্ব মেদিনীপুরে একদা দলের স্তম্ভ ছিলেন লক্ষ্মণ শেঠ। কিন্তু ২০১১ সালে বিধানসভা ভোটে এখানেও সিপিএমের ভরাডুবি হওয়ায় ক্রমশ দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে লক্ষ্মণবাবুর। কিছুদিন আগে তাঁকে বহিষ্কার করে দল। এদিকে, গত শনিবার লক্ষ্মণ শেঠের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে সিপিএম ছাড়েন তমালিকা পণ্ডা শেঠ, অশোক গুড়িয়া, অমিয় শাহু প্রমুখ হেভিওয়েটরা। আগামী পয়লা অগস্ট লক্ষ্মণবাবু নয়া দল ভারত নির্মাণ মঞ্চ গঠনের কথা ঘোষণা করবেন। ওইদিন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ওই বিদ্রোহী নেতারা সেখানে যোগ দেবেন।
আজ দলের সুদিন থাকলে লক্ষ্মণবাবুর শিবিরে ভিড়ে যাওয়া বিদ্রোহীদের ঘটা করে হয়তো পাকাপাকিভাবে তাড়ানোর কথা ঘোষণা করে দিত সিপিএম। কিন্তু এখন বড় দুর্দিন। যাঁরা দল ছাড়লেন কিংবা ছাড়ব-ছাড়ব করছেন, তাঁদের সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে অস্তিত্বই মুছে যাবে। জেলায় লক্ষ্মণবাবুর বিরোধী গোষ্ঠী অর্থাৎ প্রশান্ত প্রধান, নিরঞ্জন সিহি প্রমুখরা বিদ্রোহীদের ফেরানোর বিরোধিতা করলেও সূর্যকান্ত মিশ্র চাইছেন, আলোচনার রাস্তা খোলা রাখতে। কয়েকজনের সঙ্গে গোপনে কথাও হয়েছে। যদিও কতজন আদৌ ফিরে আসবেন, তা নিয়ে এখনই কিছু বোঝা যাচ্ছে না।
একদিকে শাসক দলের রক্তচক্ষু, অন্যদিকে বিজেপির উত্থানে পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতেও কোণঠাসা হয়ে পড়েছে সিপিএম। ২০১৬ সালে বিধানসভা ভোট। তার আগে ঘর গোছাতে না পারলে যে সমূহ বিপদ, সেটা নিশ্চিতভাবেই আঁচ করেছে রাজ্য নেতৃত্ব। ওই জেলায় এখন তৃণমূল কংগ্রেসের মোকাবিলা নয়, বরং লক্ষ্মণ শেঠের মোকাবিলা করাই মূল বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে সিপিএমের কাছে।