সিপিএম নেতারা 'মাকাল ফল', বিধানসভায় তোপ রেজ্জাক মোল্লার
প্রসঙ্গত, গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশ বাজেট পেশ করেন বিধানসভায়। এই বাজেটের ওপর জবাবি ভাষণ দিতে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় আহ্বান জানান সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত নেতা তথা বিধায়ক আব্দুর রেজ্জাক মোল্লাকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করার পাশাপাশি তিনি বলেন, "সিপিএমকে বলছি, সাহস থাকে তো বুক চিতিয়ে এগিয়ে যাও। রাস্তায় নামো। মার খাও। হাসপাতালে ভর্তি হও। তখন আমি তোমাদের গিয়ে দেখে আসব। কিন্তু ঘরে বসে থাকলে কিছুই হবে না। আসলে সিপিএমের ওপরতলায় কিছু মাকাল ফল রয়েছে। এরা নড়েও না, চড়েও না। এদের খুঁটে খাওয়া মুরগি হতে হবে। এখন সিপিএমে আদর্শ, নীতি ইত্যাদির বালাই নেই। তাই দলের এই দশা।"
তিনি আরও বলেন, "আগের সরকার গরিব চাষীদের নয়, শিল্পপতিদের তোয়াজ করেছে। টাটার ক্ষেত্রেই ধরুন। টাটারা সরকারের টাকায় এখানে শিল্প গড়তে এসেছিল। গ্যাঁটের এক পয়সাও খরচ করেনি। আর সালিম গোষ্ঠী পুরো দু'নম্বরি। ৪০-৪২ হাজার এক জমি তাদের দেওয়ার ব্যবস্থা করলেন একজন। বললেন, সেটা নাকি তাঁর জীবনের সবচেয়ে সেরা সময়। কার বাপের সম্পত্তি কাকে দিচ্ছিলেন উনি?" আক্রমণের লক্ষ্য যে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যই ছিলেন, সেটা স্পষ্টই বোঝা গিয়েছে।
এদিকে, আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা এমন বক্তব্য পেশ করার পর আপ্লুত হয়ে পড়েন শাসক দলের বিধায়করা। অনেকে টেবিল চাপড়ে সমর্থন করেন। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম তো চেয়ার ছেড়ে উঠে এসে করমর্দন করেন। অন্যদিকে, বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র পাল্টা বলেন, "উনি এখন কংগ্রেসের গা ঘেঁষে বসছেন। এর পর কি কংগ্রেসের বেঞ্চ টপকে একেবারে শাসক শিবিরে গিয়ে ভিড়বেন? উনি এখনই পদত্যাগ করে জোড়া ফুল চিহ্নে লড়লে ভোটে জিতে যাবেন, এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। তাই রাখঢাক করছেন কেন, বুঝতে পারছি না।"