মমতার কথা মতো সুজন দিলেন বিধানসভা ভাঙচুরের প্রমাণ, রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলেন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী। শুক্রবার বিধানসভায় ভাষণের সময় অভিযোগ ওঠায় ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, বিধানসভা ভাঙচুরের ভিডিও আছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলেন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী। শুক্রবার বিধানসভায় ভাষণের সময় অভিযোগ ওঠায় ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, বিধানসভা ভাঙচুরের ভিডিও আছে। তাতে কেউ দেখাতে পারবেন না, যে তিনি বিধানসভা ভাঙচুর করেছেন।
চ্যালেঞ্জ করেছিলেন মমতা
বিধানসভায় ভাষণের সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে আওয়াজ তোলা হয়েছিল বিধানসভা ভাঙচুর করছিলেন। এতে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী বিরোধীদের চ্যালেঞ্জ করে বলেছিলেন, বিধানসভা ভাঙচুরের ভিডিও আছে, তাতে দেখাতে পারবেন কেউ, যে তিনি(মমতা) বিধানসভা ভাঙচুর করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছিলেন, যখন বলেছেন তখন প্রমাণ করত হবে। স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছিলেন যখন ওঁরা অভিযোগ করছেন, তখন প্রমাণ করতে হবে।
বিধানসভায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি, অভিযোগ করেছিলেন মমতা
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ করেছেন, সিঙ্গুরে তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সেই সময় বিরোধী দলনেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তিনি দেখা করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে নাকি বিধানসভাতেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি। জুতো পর্যন্ত কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। তিনি কিছুই করেননি দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভার কোনও জিনিসে পর্যন্ত হাত দেননি, দাবি করেছেন তিনি।
২০০৬-এর ৩০ নভেম্বর বিধানসভায় ভাঙচুর
২০০৬ সালের ৩০ নভেম্বর সিঙ্গুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তৎকালীন দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোজা চলে আসেন কলকাতায়। সংবিধান হাতে নিয়ে বিধানসভায় উপস্থিত হন তিনি। সেই সময় তৃণমূল বিধায়করা বিধানসভার ভিতর আসবাব ভাঙতে শুরু করেন। সঙ্গে ছিল অস্রাব্য ভাষায় গালাগালি।
প্রমাণ দিলেন সুজন চক্রবর্তী
এদিন সকালে বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী ২০০৬-এর ৩০ নভেম্বরের বিধানসভা ভাঙচুরের ভিডিও নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে আপলোড করেছেন। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বর্তমান বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট মন্ত্রীকে অ্যাকশনেও দেখা যাচ্ছে। যা নিয়ে কটাক্ষ করে সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, তিনি চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করছেন।