তৃণমূলের ‘বন্ধু’রাই বিজেপিকে বাঁচানোর শক্তি, যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন ‘প্রকৃত শত্রু’রা
তৃণমূলের ফেডেরাল ফ্রন্টের শক্তিরাই এখন বিজেপিকে বাঁচাচ্ছে। তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে লড়াই লোক দেখানো। আসলে এসব সেটিংয়ের সংঘাত।
তৃণমূলের ফেডেরাল ফ্রন্টের শক্তিরাই এখন বিজেপিকে বাঁচাচ্ছে। তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে লড়াই লোক দেখানো। আসলে এসব সেটিংয়ের সংঘাত। তৃণমূল এখন বিজেপির কাছে আশ্রয় খুঁজছে আর বিজেপিও জানে তাঁদের বাঁচাতে পারে একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল ফেডেরাল ফ্রন্ট করে এ যাত্রায় বিজেপিকে বাঁচিয়ে দেবে বলে স্থির বিশ্বাস মোদী-শাহদের।
এমনই অভিযোগ তুললেন সিপিএম বিধায়ক তথা পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বামপরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি শুধু এ কথা বলেই ক্ষান্ত থাকলেন না। তাঁর কথার সমর্থনে যুক্তিও খাঁড়া করলেন। বললেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম ফেডেরাল ফ্রন্টের কথা ঘোষণা করলেন, তারপর মিটিং করলেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসি রাওয়ের সঙ্গে।
এবার তিনি প্রশ্ন তুললেন, সেই কেসি রাওয়ের তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি অর্থাৎ টিআরএস কাকে ভোট দিল রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান নির্বাচনে? উত্তর দিলেন নিজেই। টিআরএস রাজ্যসভায় ভেট দিল বিজেপিকে। এরপর মুখ্যমন্ত্রী মিটিং করতে গেল শিবসেনার সঙ্গে। সেই শিবসেনাও ভোট দিল বিজেপিকে।
এখানেই শেষ নয়। মুখ্যমন্ত্রী ফলাও করে যাঁর কথা বলতেন, সেই নবীন পট্টনায়ক অর্থাৎ বিজেডি দল, তারা কাকে ভোট দিল, তারা ভোট দিল বিজেপিকে। যার ফলে ড্যাং ড্যাং করে জিতে গেল বিজেপি। অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রীর ফেডেরাল সঙ্গীরা কেউই বিজেপি বিরোধী নয়। তাঁরা বিজেপিকে সুবিধা করে দিতেই ফেডেরাল ফ্র্ন্টের গল্প ফেঁদেছে। আর সেই ফেডেরাল ফ্রন্টের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কার সুবিধা করে দিচ্ছেন, মিলিয়ে নিন, বললেন সুজন চক্রবর্তী।
তিনি বলেন, যাঁদের নিয়ে ফেডেরাল ফ্রন্ট তাঁরাই আসলে বিজেপি বাঁচানোর শক্তি। তাঁদের সংঘবদ্ধ করে বিজেপিকে বাঁচানোর প্রয়াস চালাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নরেন্দ্র মোদী তাই পিছনে বলছেন তৃণমূলের মতো শক্তি থাকলে বন্ধু খোঁজার দরকার নেই। এরকম শত্রু থাকলে অটোমেটিক সুবিধা পাওয়া যাবে।
[আরও পড়ুন:ফের চোখ মারলেন রাহুল! এক ইশারাতেই মুছল সব ভেদাভেদ, উঠল হাসির রোল]
এদিন তৃণমূল কংগ্রেসকে বিজেপির প্রকৃত বন্ধু বলে বর্ণনা করে সুজন বলেন, মেদিনীপুরে নরেন্দ্র মোদী এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিতে রাস্তার দুধার সাজিয়ে মোদীকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। এবার কলকাতায় এলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। তাঁকেও আনত মুখে নিজের ছবি লাগিয়ে লহ প্রণাম জানালেন। ভিতরে ভিতরে এমনই বন্ধুত্বপূর্ণ আবহ রয়েচে দুই দলের। বাইরেটা লোক দেখানো শত্রুতা।
[আরও পড়ুন:রাহুলের 'জাদু কা ঝাপ্পি' ভুলতে পারছেন না মোদী! নাটকবাজ কটাক্ষ কং-সাংসদের]