‘মমতার মতো শত্রু থাকলে বন্ধু খোঁজার দরকার নেই, আড়ালে বলেন মোদী!’ খোঁচা সুজনের
তৃণমূল কংগ্রেসকে নরেন্দ্র মোদীর দলের প্রকৃত বন্ধু বলে আখ্যায়িত করে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, আড়ালে মোদী বলছেন তৃণমূলের মতো শত্রু থাকলে বন্ধু খোঁজার দরকার নেই।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই কেন্দ্রের মোদী সরকার ও বিজেপির বিরুদ্ধে সবথেকে বেশি সরব। তিনিই দেশজুড়ে আওয়াজ তুলেছেন নরেন্দ্র মোদী সরকারকে হটানোর জন্য। এই অবস্থায় তৃণমূল কংগ্রেসকে নরেন্দ্র মোদীর দলের প্রকৃত বন্ধু বলে আখ্যায়িত করলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তাঁর কথায়, আড়ালে মোদী বলছেন তৃণমূলের মতো শত্রু থাকলে বন্ধু খোঁজার দরকার নেই।
তিনি ব্যাখ্যা করেন, তৃণমূলের মতো শত্রু থাকলে অটোমেটিক সুবিধা পাওয়া যাবে। যেমনটা বিজেপি পেয়েছে সম্প্রতি রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান নির্বাচনে। তিনি এ প্রসঙ্গে টিআরএস, শিবসেনা ও বিজেডির ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। বলেন, এরাই তো তৃণমূলের বন্ধু। যাঁরা ফেডেরাল ফ্রন্টের কথা বলে বিজেপিকে শক্তি জোগাচ্ছে।
সুজন চক্রবর্তীর কথায়, ভিতরে ভিতরে বন্ধুত্বপূর্ণ আবহ রেখেই চলছে দুই দল। বাইরেটা লোক দেখানো শত্রুতা চালিয়ে যাচ্ছে। একদন বলছে ৪২-এ ৪২ চাই। অন্য দল বলছে ৪২-এ ২২। এখানেই হয়ে গেল ৬৪টি। তা আবার ১৬৪-ও হয়ে যেতে পারে। বিজেপি আসলে বলতে চাইছে, অনেক তো সাহায্য করলাম এবার বাংলায় ৪২-এ ২২ দাও। দু-দলের এখন আসন সেটিংয়ের তরজা চলছে বলে কটাক্ষ করেন সুজন। তিনি বলেন, পাগলের প্রলাপ এখন চোখ-কান বুঝিয়ে শুনতে হচ্ছে।
[আরও পড়ুন:তৃণমূলের 'বন্ধু'রাই বিজেপিকে বাঁচানোর শক্তি, যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন 'প্রকৃত শত্রু'রা]
তাঁর কথায়, তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে লড়াই লোক দেখানো। তৃণমূল একদিকে বিজেপির কাছে আশ্রয় খুঁজছে আর অন্যদিকে বিজেপিও জানে তাঁদের বাঁচাতে পারে একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল ফেডেরাল ফ্রন্ট করে এ যাত্রায় বিজেপিকে বাঁচিয়ে দেবে বলে মোদী-শাহদের আস্থাভাজনও হয়ে উঠছে ক্রমশও। কারণ তৃণমূলের ফেডেরাল ফ্রন্টের শক্তিরাই এখন বিজেপিকে বাঁচাতে আসরে ঝাঁপাচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ফের চোখ মারলেন রাহুল! এক ইশারাতেই মুছল সব ভেদাভেদ, উঠল হাসির রোল]