কাকদ্বীপে সিপিএম নেতাকে পুড়িয়ে খুন, দেহ নিয়ে কমিশনে সুজন-কান্তিরা
কাকদ্বীপের নামখানায় বুধাখালিতে সিপিএম নেতা দেবু দাসকে জীবন্ত দগ্ধ করে দেওয়ার ঘটনায় দেহ নিয়ে এবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে যাচ্ছে সিপিএম নেতারা। নেতৃত্বে রয়েছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী ও কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। যেভাবে দলীয় নেতাকে রাতের অন্ধকারে পুড়িয়ে মারা হয়েছে তার শেষ দেখে ছাড়বেন বলে সিপিএম নেতারা জানিয়েছেন। একইসঙ্গে নির্বাচন কমিশনকেও এই ঘটনার জবাবদিহি করতে হবে বলে দাবি করেছেন তাঁরা।

রবিবার রাতে পঞ্চায়েত ভোট শুরু হওয়ার কয়েকঘণ্টা আগে কাছাড়ি বাড়ি গ্রামে সিপিএম নেতা দেবু দাস ও তাঁর স্ত্রী ঊষা দাসকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে। রাত ১২ টা নাগাদ দেবু দাসের ঘরের ভিতরে বাঁশের জানলার ফাঁক দিয়ে কে বা কারা আগুন লাগিয়ে দেয়। ঘরে তখন ঘুমোচ্ছিলেন দেবু দাস এবং তাঁর স্ত্রী ঊষা দাস।

কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুটি প্রাণ শেষ হয়ে যায়। ঘটনায় অভিযোগের আঙুল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। রবিবার রাতেই সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন সিপিএম-এর দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সম্পাদক শমীক লাহিড়ি। তাতে বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এবার দেহ নিয়ে কমিশনের সামনে যাচ্ছেন সুজনরা।