ইয়েচুরিকে পাশে বসিয়ে তৃণমূলকে ‘সমর্থন’ মানিকের! বিজেপি বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এককাট্টা
বিজেপিকে রুখতে তৃণমূলের দিকে কি সমর্থনের হাত বাড়াবে সিপিএম? তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে ২০২১-এ বঙ্গ বিধানসভার নির্বাচনে তৃণমূলের বিপুল জয়ের পর থেকেই।
বিজেপিকে রুখতে তৃণমূলের দিকে কি সমর্থনের হাত বাড়াবে সিপিএম? তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে ২০২১-এ বঙ্গ বিধানসভার নির্বাচনে তৃণমূলের বিপুল জয়ের পর থেকেই। ২০২৪-এর লক্ষ্যে তৃণমূল যখন কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলানোর চেষ্টা করছে, তখন সিপিএমের সঙ্গে কী সমীকরণ হবে তৃণমূলের? এরই মধ্যে সীতারাম ইয়েচুরিকে পাশে বসিয়ে মানিক সরকার তৃণমূলের পক্ষে সওয়াল করলেন।
তৃণমূলের পাশে সিপিএম নেতা মানিক সরকার
বাংলায় জেতার পর ত্রিপুরাকে পাখির চোখ করেছে তৃণমূল। তৃণমূল ত্রিপুরায় সংগঠন বিস্তার করতে চাইছে। আর তৃণমূল ত্রিপুরায় পা দেওয়ার পর থেকেই বিজেপির বাধার মুখে পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে প্রতিটি পদক্ষেপেই তৃণমূলের পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিপিএম নেতা মানিক সরকারের।
তৃণমূলের উপরও হামলা শুরু করেছে বিজেপি
এবারও তিনি তৃণমূলের পাশে দাঁড়ালেন। বিজেপির নিন্দা করলেন বারবার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের উপর আক্রমণ এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার অনুমতি না দেওয়ার জন্য। মানিকবাবু এদিন দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, বিজেপি চায় একটাই দল থাকবে ত্রিপুরায়। সেই লক্ষ্য নিয়েই সন্ত্রাসের রাজনীতি শুরু করেছে বিজেপি। বিরোধীদের মুখ বন্ধ করার জন্য লাগাতার হামলার রাস্তা নিয়েছে বিপ্লব দেব সরকার। বামেদের উপর হামলা দিয়ে শুরু করেছিল, এখন কংগ্রেস ও তৃণমূলের উপরও হামলা শুরু করেছে।
বিরোধীদের সভাসমিতি করতে দেয় না বিজেপি
ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার এদিন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকে পাশে বসিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানে মানিকবাবু বলেন, বিজেপি সরকার দেশের সংবিধান মানে না। বিরোধী দলগুলিকে মনোনয়ন দাখিল করতে দেয় না। কোনও সভাসমিতি করতে দেয় না। এমনকী জনপ্রতিনিধিদের ঢুকতে পর্যন্ত দেয় না নির্বাচনী ক্ষেত্রে।
প্রকারান্তরে একযোগে লড়াইয়ের বার্তা মানিক সরকারের
সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের উপর হামলা হচ্ছে। তাঁদের সভার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। সে প্রসঙ্গে মানিক সরকারের সোজাসাপ্টা জবাব, এক সময় বামেদের উপর আক্রমণ দিয়ে করেছে বিজেপি। এবার কংগ্রেস, তৃণমূল এবং অন্যান্য বিরোধী দলকেও নিশানা করছে। আসলে বিজেপি চাইছে তারা ছাড়া কেউ থাকবে না ত্রিপুরায়। ত্রিপুরাকে একদলীয় রাজনীতির ল্যাবরেটরি বানাতে চাইছে বিজেপি। এতে যদি ওরা সফল হয়ে যায়, তাহলে দেশের অন্যান্য রাজ্যেও ওরা তা করবে। তাই ফ্যাসিস্ট বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। প্রকারান্তরে তিনি একযোগে লড়াই করার বার্তাই দেন।
আমি নিজে ১৫ বার চেষ্টা করেছি, বিজেপি যেতে দেয়নি
মানিক সরকারের কথায়, বিরোধী বিধায়কদের উপর হামলা করতেও পিছপা হচ্ছে না বিজেপি। ত্রিপুরায় তাদের তিন জন বিধায়কের উপর হামলা হয়েছে। আমাকে পর্যন্ত আমার নির্বাচনী কেন্দ্রে যেতে দেওয়া হয়নি। আমি নিজে ১৫ বার চেষ্টা করেছি আমার বিধানসভা ক্ষেত্রে যেতে। কিন্তু বারবার চেষ্টা করেও যেতে পারিনি। আমাকে যেতে দেওয়া হয়নি।
পারফরম্যান্স শূন্য, বিজেপি ঠকিয়েছে ত্রিপুরাকে
শুধু সিপিএমের উপর হামলা নয়, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের উপরও হামলা হচ্ছে। কংগ্রেস থেকে শুরু করে হালে তৃণমূল ও রাজ্যে ছোটোখাটো দলগুলির উপরও দমন-পীড়ন চালাচ্ছে বিজেপি। এছাড়া সাংবাদিকদেরও ছাড়ছে না তারা। দেড় বছরে অন্তত ৩৫ জন সাংবাদিকের উপর হামলা হয়েছে ত্রিপুরায়। ৪ মিডিয়া হাউসের উপর আক্রমণ শানানো হয়েছে। বিজেপি ভোটে গালভরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কিন্তু তাদের পারফরম্যান্স শূন্য। বিজেপি ঠকিয়েছে ত্রিপুরাকে।