সহানুভূতি ভোট আদায়ের জন্যই দলের কর্মীর হাতে নৃশংস খুন! বিস্ফোরক দাবি পুলিশের
কাকদ্বীপের সিপিএম নেতা ও তাঁর স্ত্রীকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মোড় নিল। পঞ্চায়েত নির্বাঠনের আগের রাতে দাস দম্পতিকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে ভোটের আগে সহানুভূতি আদায়ের জন্যই।
কাকদ্বীপের সিপিএম নেতা ও তাঁর স্ত্রীকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মোড় নিল। পঞ্চায়েত নির্বাঠনের আগের রাতে দাস দম্পতিকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে ভোটের আগে সহানুভূতি আদায়ের জন্যই। সিপিএম কর্মীরাই তাঁদের নেতাকে খুন করেছে বলে বিস্ফোরক দাবি জেলা পুলিশের। সিপিএম এই ঘটনাকে নবান্নের নিচু রাজনীতি বলে কটাক্ষ করেছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন জেলা পুলিশের দাবি, কাকদ্বীপ হত্যাকাণ্ডে তেলেঙ্গানা থেকে ধৃত ৯ জনকে জেরা করে এই তথ্য মিলেছে। অভিযুক্তরা জেরায় স্বীকার করেছে, সিপিএমই এই খুন করেছে। সহানুভূতি ভোট আদায়ের জন্যই এই কাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে জেরায় জানিয়েছেন ধৃতরা- এমনটাই দাবি জেলা পুলিশের।
যদিও এইসবই পুলিশের চক্রান্ত বলে মনে করছে সিপিএম। নবান্নের নির্দেশে পুলিশ এই নোংরা খেলা শুরু করেছে বলে দাবি সিপিএম নেতা শমীক লাহিড়ীর। তিনি বলেন, আমরা দেখতে চাই নবান্ন ও পুলিশ কত নিচে নামতে পারে। আমরা এর শেষ দেখতে চাই। ইতিমধ্যে হাইকোর্টে আমরা মামলা করেছি। আরও উপরে যেতে হয় যাব, এই নোংরামোর এবার শেষ হওয়া দরকার।
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোট শুরু হওয়ার কয়েকঘণ্টা আগে কাকদ্বীপের বুধাখালিতে কাছাড়িবাড়ি গ্রামে সিপিএম নেতা দেবু দাস ও তাঁর স্ত্রী ঊষা দাসকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগ ওঠে। রাত ১২ টা নাগাদ দেবু দাসের ঘরের ভিতরে বাঁশের জানলার ফাঁক দিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। ঘরে তখন ঘুমোচ্ছিলেন দেবু দাস ও তাঁর স্ত্রী ঊষা দাস। কিছু বুঝে ওঠার আগেই সব শেষ। এই ঘটনায় অভিযোগের তির ওঠে তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে।
রবিবার রাতেই সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন সিপিএম-এর দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সিপিএমের সম্পাদক শমীক লাহিড়ি। তাতে বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়। কিন্তু তাদের কাউকে গ্রেফতার করা হরনি বলে অভিযোগ। সিপিএম কর্মীদেরই ফাঁসিয়ে পুলিশ এই নোংরামোটা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ।