জোট সরকারে তৃণমূল থাকলেও সমর্থন দেবে সিপিএম! বিজেপি বিরোধিতায় কৌশল বদল
বিজেপিকে আটকাতে বিকল্প জোট সরকারকেই সমর্থন দেবে সিপিএম। এমনকী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল সেই জোটে থাকলেও সিপিএম মোদীবিরোধী জোট সরকারকে সমর্থনে পিছপা হবে না।
বিজেপিকে আটকাতে বিকল্প জোট সরকারকেই সমর্থন দেবে সিপিএম। এমনকী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল সেই জোটে থাকলেও সিপিএম মোদীবিরোধী জোট সরকারকে সমর্থনে পিছপা হবে না। তারা জানেন, তৃণমূলের সমর্থন তাদের জন্য বাংলায় আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। তা সত্ত্বেও বিজেপিকে ক্ষমতার বাইরে রাখতে এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে তারা তৈরি।
বাইরে থেকে সরকারকে সমর্থন
বর্তমান পরিস্থিতিতে ২০০৪ সালের মতো বাইরে থেকে সরকারকে সমর্থন দিতে পারে সিপিএম। ২০০৪-এ সিপিএমের সমর্থনে ক্ষমতায় এসেছিলে ইউপিএ। এই ইউপিএ ওয়ান সরকারে অবশ্য তৃণমূল ছিল না। আবার ২০০৯ সালে ইউপিএ টু সরকার হয়েছিল তৃণমূলের সমর্থনে। সেবার সিপিএম ছিল না।
বিকল্প সরকারকে সমর্থন
এবার কিন্তু পরিস্থিতি ভিন্ন। সিপিএমের শক্তিও আগের থেকে কম। তাই সিপিএম এবার আগেভাগেই বিকল্প সরকারকে সমর্থন দিতে তৈরি বলে জানিয়ে দিয়েছে। একইসঙ্গে তারা সাফ করে দিয়েছে, তৃণমূল থাকলেও তারা বিজেপি বিরোধী জোটের সরকারকে সমর্থন করবে। বাংলায় তাঁদের সাংগঠনিক ক্ষতি হলেও দেশের স্বার্থে তারা এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
শক্তি কমলেও, বিজেপি বিরোধিতা
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ৩৪টি আসন জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। পশ্চিমবঙ্গে ৩৪ বছর পর বামফ্রন্ট ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার পর গত লোকসভায় বামেদের মাত্র ন'জন সদস্য ছিল। এবার বামেদের শক্তি আরও কমতে পারে। এই পরিস্থিতিতে বামেরা সমর্থনের বার্তা দিল বিজেপি বিরোধী জোট সরকারের প্রয়োজন হলে।
স্লোগান একই, কৌশল বদল
পশ্চিমবঙ্গে সিপিএমের প্রধান স্লোগান ছিল বিজেপি ও তৃণমূলকে পরাজিত করা। তা সত্ত্বেও বামেরা যে বিজেপিকেই সবথেকে বড় শত্রু মনে করছে, তা এই সিদ্ধান্তের ফলে প্রকাশ হয়ে গিয়েছে। বামপন্থীদের একটা বড় অংশ মনে করে, ২০০৪-এ ইউপিএ সরকারের কাছ থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেওয়া ভুল ছিল। তারপরই তৃণমূল ইউপিএ-কে সমর্থন করে। তারাও আবার ইউপিএ ছেড়ে বেরিয়ে আসে।
ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক সরকার
সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, তারা সর্বদাই চান কেন্দ্রে ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক সরকার হোক। ১৯৯৬ সাল বার ২০০৪ সাল আমরা সেই নমুনা রেখেছি। ২০০৪-এ আমরা কংগ্রেস ও বিজেপির পরে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে আবির্ভূত হই, কিন্তু আমরা ইউপিএ সরকারকে বাইরে থেকে সমর্থন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।