লোকসভার পর বিধানসভাতেও হাত খালি, আইনসভায় থাকবে না বঙ্গ সিপিএমের প্রতিনিধি
২০১৯-এর লোকসভায় কংগ্রেস অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে সমর্থ হলেও সিপিএম শূন্য হয়ে গিয়েছিল লোকসভা থেকে। বামেরা কোনও আসনেই জয় পায়নি। এবার একুশের বিধানসভা নির্বাচনেও ধুয়েমুছে সাফ হয়ে গেল সিপিএম তথা বামজোট।
২০১৯-এর লোকসভায় কংগ্রেস অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে সমর্থ হলেও বঙ্গ-সিপিএম শূন্য হয়ে গিয়েছিল লোকসভা থেকে। বামেরা কোনও আসনেই জয় পায়নি। এবার একুশের বিধানসভা নির্বাচনেও ধুয়েমুছে সাফ হয়ে গেল সিপিএম তথা বামজোট। নীলবাড়ি দখলের লড়াইয়ে লালপার্টি ফিরল শূন্যহাতেই। দুই আইনসভাতেই শূন্য হয়ে গেল বামেরা।
২০২১-এ পুরোপুরি সাফ সিপিএম
৩৪ বছর এ রাজ্যে শাসন কায়েম করেছে সিপিএম তথা বামফ্রন্ট। কিন্তু ২০১১ সালে মমতা বন্যোু পাধ্যায়ের হাত ধরে বাংলায় পরিবর্তন আসার পর ধীরে ধীরে তলানিতে পৌঁছে গিয়েছে বামেরা। ২০১৬ পর্যন্ত অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখলেও তারপর থেকেই নামতে শুরু করে সিপিএম। ২০১৯-এ তার আভাস মিলেছিল। ২০২১-এ পুরোপুরি সাফ।
লোকসভার পর বিধানসভাতেও কোনও প্রতিনিধি থাকছে না
২০১১ সালে বাংলার লাল দুর্গে ফাটল ধরার পর ২০১৬-য় তবু বিরোধী তকমা ছিল। এবার যুব-ব্রিগেডকে সামনের সারিতে নিয়ে এসেও ফায়দা তুলতে পারল না সিপিএম। কোনও আসনেই তাঁরা প্রভাব ফেলতে পারেনি। হাতছাড়া হয়েছে সমস্ত আসনই। তাই লোকসভার পর বিধানসভাতেও কোনও প্রতিনিধি থাকছে না বঙ্গ সিপিএম বা বামের।
সংযুক্ত মোর্চা থাকলে নওশাদ বাম-কংগ্রেসেরও মুখ
এবার বিধানসভায় থাকছে না কোনও কংগ্রেস সদস্যও। এই প্রথম বাংলার বিধানসভা তৈরি হবে কোনও কংগ্রেস সদস্য ছাড়া। শুধু বাম-জোটের এক সদস্য থাকবেন। তিনি হলেন নওশাদ সিদ্দিকি। পিরজাদা। তিনি ভাঙড় কেন্দ্র থেকে তৃণমূলকে হারিয়ে এবার বিজয়ী হয়েছেন। যদি সংযুক্ত মোর্চার অস্তিত্ব থাকে, তবে তিনিই হবেন বাম-কংগ্রেসেরও মুখ।
ব্রিগেড ভরালেও তা ভোট বাক্সে পর্যবষিত হয়নি
বামেরা মনে করেছিল আইএসএফের সঙ্গে জোট করে ব্রিগেড ভরালেই তা ভোট বাক্সে পর্যবষিত হবে। কিন্তু আদতে তা হয়নি। পথে বামেদের সঙ্গে লোক থাকলেও কিংবা আন্দোলনে সঙ্গী হলেও ভোটবাক্সে ভাঁড়ে মা ভবানী অবস্থা বামেদের। এমনকী এবার অধীর-গড়ে কংগ্রেসও দাঁত ফোটাতে পারেনি। আইএসএফের সঙ্গে কংগ্রেসের লড়াই-ই কি তবে আরও বিপাকে ফেলে দিল কংগ্রেসকে নাকি আইএসএফের সঙ্গে জোটই কাল হল বাম-কংগ্রেসের?