তৃণমূল-বিজেপি এক নয়! বিজেমূল তত্ত্বেও আর বিশ্বাস নেই, পাঠচক্রে বার্তা পাঠাল সিপিএম
তৃণমূল-বিজেপি এক নয়! বিজেমূল তত্ত্বেও আর বিশ্বাস নেই, পাঠচক্রে বার্তা পাঠাল সিপিএম
তৃণমূল আর বিজেপির সঙ্গে সমান দূরত্ব রেখে এতদিন চলে এসেছে সিপিএম। বিজেপি ও তৃণমূলকে এতদিন একই বন্ধনীতে রেখে বিজেমূল হিসেবে আক্রমণ শানিয়ে এসেছেন বামপন্থীরা। কিন্তু সেই বিজেমূল-নিশানার দিন শেষ হতে চলেছে সিপিএমের। আলিমুদ্দিন স্ট্রিট এবার নিচুতলার নেতা-কর্মীদের কাছে বার্তা পাঠাচ্ছে বিজেপি-তৃণমূলকে একাসনে বসিয়ে আক্রমণ আর নয়।
অভিষেকের পাল্টা প্রচারে বিপ্লব! মহিলা ভোটার ধরে রাখতে তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ বিজেপির
শূন্য থেকে শুরু করতে চাইছে সিপিএম
২০২১-এর নির্বাচনে সিপিএম ধুয়েমুছে সাফ হয়ে গিয়েছে। ২৯৪টির মধ্যে একটি আসনও জোটেনি তাঁদের। তৃণমূলের এক ও একমাত্র বিরোধী হিসেবে উঠে এসেছে বিজেপি। রাজ্য বিধানসভায় এখন তৃণমূল বনাম বিজেপি। কংগ্রেস ও সিপিএমের কোনও বিধায়ক নেই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায়। এই পরিস্থিতিতে শূন্য থেকে শুরু করতে চাইছে সিপিএম।
ভোট পরবর্তী পরিস্থতিতে সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে
প্রয়াত সিপিএম নেতা মুজফ্ফর আহমেদের জন্মদিনে পাঠচক্রের আয়োজন করেছে সিপিএম। সেখানে সমস্ত শাখা সংগঠনকে নিয়ে বসার পরিকল্পনা করেছে নেতৃত্ব। এই পাঠচক্রের অনুষ্ঠানে আলোচনার বিষয়বস্ত নির্ধারিত হয়েছে- 'নির্বাচনোত্তর পরিস্থিতি ও আমাদের কাজ'। এই অনুষ্ঠানে মূলত আলোচনা হবে বিধানসভা ভোট পরবর্তী পরিস্থতিতে সংগঠনকে এগিয়ে চলা নিয়ে।
বিজেপি আর অন্য কোনও দল এক নয়
এই আলোচনার জন্য শাখা কমিটিগুলির কাছে একটি নোট পাঠানো হয়েছে। সেখানে একাধিক বিষয়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য তৃণমূল ও বিজেপির সমমূল্যায়ন আর নয়। বিজেপি ও তৃণমূলের বিষয়ে পার্টির অবস্থান নিয়ে কিছু স্লোগানে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। পার্টির কর্মসূচিগত বোঝাপড়া হল- বিজেপি আর অন্য কোনও দল এক নয়।
বিজেপি ও তৃণমূলের মোকাবিলা পৃথকভাবে
সিপিএমের মূল্যায়ন বিজেপিকে পরিচালনা করে ফ্যাসিবাদী আরএসএস। তাই বিজেপির মোকাবিলা একেবারেই আলাদাভাবে করতে হবে। অন্য কোনও দলের সঙ্গে মিশিয়ে তাঁকে মোকাবিলা করা যাবে না। বিজেপি-তৃণমূল সমান আমরা এ কথা আর কখনও বলব না। বিজেমূল স্লোগানও তুলব না। আমরা বিজেপি ও তৃণমূলের মোকাবিলা করব পৃথকভাবে।
বিজেমূল জাতীয় স্লোগান থেকে সরছে সিপিএম
সিপিএম উল্লেখ করেছে, বিজেমূল জাতীয় স্লোগান বা বিজেপি ও তৃণমূল একই মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ- এ জাতীয় বক্তৃতা আর চলপে না। এর ফলে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে বাংলায়। এই নোটে আরও বলা হয়ছে, তৃণমূল প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা সামলেছে নানা জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের মাধ্যমে। কিন্তু বাংলার মানুষ বিজেপির দখলদারি মানসিকতাকে মেনে নেয়নি।
বিজেপি-তৃণমূলকে এক করে আর লড়াই নয়
এবার বিজমূল তত্ত্বে অসারতা নিয়ে আলোচনাই সবথেকে বেশি গুরুত্ব পেতে শুরু করেছে। সূর্যকান্ত মিশ্র আগেও একথা জানিয়েছিলেন। এবার সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক হিসেবে তিনি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা দিলেন বিজেপি-তৃণমূলকে এক করে আর লড়াই করলে হবে না। ২০১৯ ও ২০২১ প্রমাণ করেছে দু-দলের লড়াই আর গড়াপেটা নয়।