মমতার বিরূদ্ধে প্রার্থী দেবে না আইএসএফ, সিপিএম দুজনকে বেছে নিয়েছে নন্দীগ্রাম-দ্বৈরথে
মমতা-শুভেন্দুর দ্বৈরথের মাঝে নন্দীগ্রামে প্রার্থী দেবে না আব্বাস সিদ্দিকির আইএসএফ। এই কেন্দ্রে জোট-জট কাটিয়ে প্রার্থী দিতে চলেছে সিপিএম। সিপিএম জানিয়েছে, তাঁরা ইতিমধ্যেই দুজনের নাম চূড়ান্ত করে ফেলেছেন।
মমতা-শুভেন্দুর দ্বৈরথের মাঝে নন্দীগ্রামে প্রার্থী দেবে না আব্বাস সিদ্দিকির আইএসএফ। এই কেন্দ্রে জোট-জট কাটিয়ে প্রার্থী দিতে চলেছে সিপিএম। সিপিএম জানিয়েছে, তাঁরা ইতিমধ্যেই দুজনের নাম চূড়ান্ত করে ফেলেছেন। আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের তরফে দুই প্রার্থীকে বেছে নেওয়া হয়েছে। উভয়েই স্থানীয় নেতা বলে জানানো হয়েছে সিপিএমের তরফে।
নন্দীগ্রাম বিধানসভা আসনে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে
সিপিএম জানিয়েছে, প্রথম জন হলেন জেলা ডিওয়াইএফআইয়ের সাধারণ সম্পাদক পরিতোষ পণ্ডা। তিনি ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে কাঁথি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তিনি মাত্র ৭৬ হাজার ভোট পেয়েছিলেন লোকসভা নির্বাচনে। তাঁর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। তিনিই এবার এগিয়ে নন্দীগ্রাম বিধানসভা আসনে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে।
নন্দীগ্রামে প্রার্থীর নাম জানিয়ে দেওয়া হবে শীঘ্রই
আর সিপিএমের নন্দীগ্রামের প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে দ্বিতীয় জন হলেন মহাদেব ভুঁইয়া। জেলা তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য তিনি। জেলা পার্টির অধিকাংশ মনে করছে, মহাদেবই শেষ পর্যন্ত প্রার্থী হবেন নন্দীগ্রামে। আলিমুদ্দিনই শেষ কথা বলবে। বিমান বসু জানিয়ে দিয়েছেন খুব শীঘ্রই তাঁদের পক্ষ থেকে নন্দীগ্রামে প্রার্থীর নাম জানিয়ে দেওয়া হবে।
আব্বাস সিদ্দিকির আইএসএফ প্রার্থী দেবে না
১৯৫২ সাল থেকেই এই আসন বামেদের প্রভাব ছিল। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সিপিআই জয়ী হয়েছে এই নন্দীগ্রাম থেকে। এবার জোট বৈঠকে এই আসনটি আব্বাস সিদ্দিকির আইএসএফকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু পরে আবার এই কেন্দ্র থেকে সিপিএম প্রার্থী দেবে বলে মনস্থ করে। জট কাটিয়ে্ এই কেন্দ্রে প্রার্থী বাছাই করাই এখন লক্ষ্য।
তৃণমূলের সঙ্গে গোপন সমঝোতা? প্রশ্ন
সিপিআই জানিয়েছে, জোটের শর্ত হিসেবে আমরা এই আসনটি আইএসএফের জন্য ছেড়েছিলাম। তারপর শুনতে পাচ্ছি আইএসএফ এই কেন্দ্রে প্রার্থী দেবে না। সিপিএম প্রার্থী দেবে বলে জানতে শুনেছি। বামফ্রন্টের তরফে এখনও জানানো হয়নি তাদেরকে। এদিকে বিজেপি অভিযোগ করেছে, তৃণমূলের সঙ্গে গোপন সমঝোতা হয়েছে সংযুক্ত মোর্চার।