পার্টি ‘দরদী’রাই এবার শুধু সদস্য, কামব্যাকের লক্ষ্যে নিষ্ক্রিয়দের বার্তা সিপিএমের
যাঁরা দুঃসময়ে চলে গিয়েছেন দল ছেড়ে, তাঁদের আর ফেরাবার তোড়জোড় করবে না সিপিএম। সিপিএম মনে করছে দুষ্ট গরুর থেকে শূন্য গোয়াল অনেক ভালো।
যাঁরা দুঃসময়ে চলে গিয়েছেন দল ছেড়ে, তাঁদের আর ফেরাবার তোড়জোড় করবে না সিপিএম। সিপিএম মনে করছে দুষ্ট গরুর থেকে শূন্য গোয়াল অনেক ভালো। সিপিএম তাই এই শূন্য গোয়াল ভর্তি করতে এবার দরদী সিপিএম কর্মীদের উপর ভরসা করছে নেতৃত্ব। দরদী সিপিএম কর্মীদের নতুন সদস্য করা হচ্ছে।
আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের তরফে সাফ জানানো হয়েছে। যাঁরা মনে থেকে পার্টিটাকে এখনও ভালোবাসে, তাঁদেরকেই এবার সদস্য করা হবে। আগের মতো লোকাল কমিটিতে আসতে যে চড়াই-উৎরাই পার হতে হত, তা এখন থেকে আর হতে হবে না। শুধু পার্টিটাকে যাঁরা ভালোবাসেন, তাঁদের জন্যই সিপিএম দুয়ার খুলে রেখে দিয়েছে।
২০১১ সালে ক্ষমতা হারানোর পর এই আট বছরে সিপিএম অস্তিত্বহীনতায় ভুগতে শুরু করেছে। এমন অবস্থায়। ক্ষমতায় তো নেই-ই, এমনকী বিরোধী তকমাও উঠতে বসেছে। আগামী দিনে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখাই চ্যালেঞ্জ। এই অবস্থায় ২০২১-এর আগে সংগঠন বাড়াতে শুধু পার্টির শুভানুধ্যায়ীদের উপরই ভরসা রাখল রাজ্য সিপিএম।
সিপিএমের জন্মশতবর্ষে দল তারুণ্যের উপরই ভরসা রাখছে। আর এই তারুণ্যের উপর ভরসা রাখতে গিয়ে সিপিএমম-দরদী মানুষদের আহ্বান জানানো হচ্ছে সংগঠনে আসার জন্য। তাঁদের সরাসরি সদস্য করে সিপিএম দল চালাবে। যাঁরা দলের দুর্দিনে ছেড়ে চলে গিয়েছে, তাঁদের ফেরার আশায় থাকবে না সিপিএম।
সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, দেশে গড় বয়স ৪০, সেখানে সিপিএমে গড় বয়স ৬৫ হতে পারে না। তাই সিপিএমের রাজ্য কমিটিতে তারুণ্য বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নিষ্ক্রিয় সদস্যদের রেখে ভিড় বাড়িয়ে কোনও লাভ নেই। বরং কম সদস্য থাকুক, কিন্তু সবাই যেন সক্রিয় থাকে।