বিরোধী শিবিরে ভাঙন ধরিয়ে দিল তৃণমূল, উন্নয়নের স্বার্থে দলবদল ‘হেভিওয়েট’ নেতার
বিরোধী শিবিরে ফের ভাঙন ধরিয়ে দিল তৃণমূল। কংগ্রেস-বিজেপি ছেড়ে এবার তারা হাত পবাড়াল সিপিএমের দিকে। সিপিএমের আসানসোল পুরসভার কাউন্সিলর ঢোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে।
বিরোধী শিবিরে ফের ভাঙন ধরিয়ে দিল তৃণমূল। কংগ্রেস-বিজেপি ছেড়ে এবার তারা হাত পবাড়াল সিপিএমের দিকে। সিপিএমের আসানসোল পুরসভার কাউন্সিলর ঢোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। আর তৃণমূলে যোগ দিয়েই কাউন্সিলর ওয়াসিমুল হকের সগর্ব ঘোষণা, উন্নয়নের স্বার্থেই সিপিএম ছেড়ে তিনি তৃণমূলে যোগ দিলেন।
সিপিএমে থেকে তিনি কোনও উন্নয়নমূলক কাজ করতে পারছিলেন না। এই অবস্থায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞে সামিল হতে তিনি লাল পতাকা ছেড়ে তেরঙ্গার ছত্রছায়ায় এলেন। যদিও তাঁর এই দলবদলে জেলা সিপিএম নেতৃত্ব ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। সিপিএমের অভিযোগ, ব্যক্তিগত উন্নয়নের তাগিদেই শাসকদলে নাম লিখিয়েছেন কাউন্সিলর।
[আরও পড়ুন:সরকারি কর্মচারীদের তিনদিনের ছুটি 'বাতিল', এবার কোমর বেঁধেছে তৃণমূল সরকার]
বর্ধমান তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের হাত ধরে তিনি তৃণমূলে নাম লেখান। ওয়াসিমুল হকের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন মন্ত্রী স্বয়ং। ওয়াসিমুল হক এলাকার দাপুটে নেতা হিসেবে পরিচিত। ফলে সিপিএম ছেড়ে তিনি তৃণমূলে আসায় এলাকায় লোকসভা ভোটের আগে শাসক শিবির শক্তিশালী হল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
[আরও পড়ুন: মমতার ঘোষণা আইনি-ফাঁসে, দুর্গাপুজোয় সরকারি অনুদান নিয়ে এবার জনস্বার্থ মামলা ]
রাজ্যে গত দুবছর ধরেই কংগ্রেস ছেড়ে অধিকাংশ নেতা-কর্মী তৃণমূলে এবং সিপিএম ছেড়ে অধিকাংশ নেতা-কর্মী বিজেপিতে নাম লেখাচ্ছেন। তার মধ্যে শাসক দলেও আসছেন সিপিএমের একটা অংশ। ফলে এই মুহূর্তে রাজ্যে সিপিএমও কংগ্রেসের অস্তিত্বহীনতা বাড়ছে। শক্তিশালী হচ্ছে শসাক তৃণমূল ও প্রধান বিরোধী বিজেপি।