মমতা-শুভেন্দুদের সৌজন্য, কী অবস্থান সিপিএম-কংগ্রেসের! পঞ্চায়েতের আগে কোন অঙ্ক
মমতা-শুভেন্দুদের সৌজন্য, কী অবস্থান সিপিএম-কংগ্রেসের! পঞ্চায়েতের আগে কোন অঙ্ক
হঠাৎ সৌজন্যের রাজনীতি শুরু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। সংঘাতের আবহ আচমকাই বদলে গিয়েছে অনেকটা। তা নিয়ে আবার রাজনৈতিক মহল অন্য সমীকরণ দেখতে শুরু করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বিরুদ্ধে লোডশেডিংয়ে জেতা বিধায়ক শুভেন্দুকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তিনিও সৌজন্যের নিদর্শন রেখেছেন কম্পার্টমেন্টাল সিএমের ডাকে সাড়া দিয়ে। এই পরিস্থিতিতে সিপিএম ও কংগ্রেস এর মধ্যে অন্য গন্ধ পেতে শুরু করেছে।
বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যাওয়ার পর শুধু যে রাজ্য রাজনীতিতে চমক তৈরি হয়েছিস তা নয়, নানা রাজনৈতিক দল তাঁদের নিজেদের মতে করো এই বিষয়টিতে দেখতে শুরু করেছে। প্রথমত শুভেন্দু অধিকারী মমতার ডাক পেয়ে তিন বিধায়ককে নিয়ে তাঁর ঘরে গিয়েছে। তারপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে শুভেন্দুর নাম মুখে আনতেন না, তাঁকে স্নেহের ভাই সম্বোধন করেছেন। শিশির অধিকারীকে প্রণাম জানিয়েছেন।
এখানেই শেষ নয়, তারপরই শুভেন্দুর অনুজ দিব্যেন্দু আবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চায়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন শান্তিকুঞ্জে। তারপর তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এদিন অধিকারীদের বাড়িতে দলের মহিলাদের পাঠানোর কথা বলেছেন। দিব্যেন্দুর স্ত্রীকে দিয়ে শুরু করার কথা জানিয়েছেন। এই আবহে সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী কটাক্ষের সুরে বলেছেন, এদের এসবের মধ্যে আমাদের না জড়ানোই ভালো। তৃণমূল ও বিজেপি উভয়েই সমান। এতদিন তো লোডশেডিংয়ে জেতা বিধায়ক আর কম্পার্টমেন্টাল সিএম ছাড়া কিছু ছিল না। এখন মোদীর নির্দেশে কাছাকাছি আসার চেষ্টা চলছে।
আবার সিপিএমের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, ইদানীংকালে মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতার যে সম্পর্ক তারপর স্নেহের ভাই হয়ে যাওয়ার ঘটনা সত্যিই বিরল। এই ঘটনা নিয়ে এবার কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না সূর্যকান্ত মিশ্র। পূর্ব মেদিনীপুরের হেঁড়িয়ায় দলের শাখা সংগঠন ক্ষেত মজুর ইউনিয়নের জেলা সম্মেলনে হাজির হয়ে তিনি বলেন, শুভেন্দু যদি মুখ্যমন্ত্রীর স্নেহের ভাই হন, তাহলে তাঁর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কে হবেন, বুঝতে পারছি না।
এদিকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও সরব হয়েছেন। তিনি বলেন, সবই মোদী-দিদির আঁতাত। তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি একটা সময়ে সমঝোতা করে ভোটে লড়েছিল। এবারও ভোটের আগে উভয়ের আঁতাত সামনে চলে আসছে। তৃণমূল ও বিজেপির বোঝাপড়া রয়েছে। এসব তারই অঙ্গ। উভয়েই এক মুদ্রার দু-পিঠ। শুধু লোক দেখাতে ওরা বিরোধিতা করে। এখন সৌজন্যের মোড়কে সখ্যতার পর্ব চলছে।
অনুব্রত না থাকলেও পঞ্চায়েতে বড় 'খেলা হবে’ বীরভূমে, মিঠুনের পাল্টা যাচ্ছেন অভিষেক