সিপিএম-কংগ্রেস জোট সক্রিয় হলে, বদলে যেতে পারে ২০২১ নির্বাচনের যাবতীয় হিসেব
সিপিএম-কংগ্রেস জোট সক্রিয় হলে, বদলে যেতে পারে ২০২১ নির্বাচনের যাবতীয় হিসেব
কংগ্রেস এবং বামফ্রন্টকে টপকে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে জায়গা করে নিয়েছে তৃণমূলের চ্যালেঞ্জার হিসেবে। ২০২১-এ তারাই তৃণমূল কংগ্রেসকে চ্যালেঞ্জ করতে চলেছে এবার। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস ও সিপিএম সক্রিয় ভূমিকা নিতে শুরু করল রাজ্যে প্রাসঙ্গিক ভূমিকা নিতে। ২০২১-এর নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোট গড়ে দুই দলকেই চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত হচ্ছে।
২০১৬-য় ব্যর্থ বাম-কংগ্রেস জোট, তবু...
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও কংগ্রেস এবং সিপিএম হাত মিলিয়েছিল। তবে উভয় দলই বাংলার রাজনীতিতে খুব বেশি প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ হয়েছিল। তারপর আশ্চর্যের বিষয় হল, ৩৪ বছর ধরে বাংলায় শাসন করা বামফ্রন্ট বিগত লোকসভা নির্বাচনে খাতাই খুলতে পারেনি। কংগ্রেস-সিপিএম আসনরফায় পোঁছতে পারেনি, ফলে সেক্ষেত্রে তাঁরা পৃথকভাবে লড়াই করেছিল।
২০১৯-এ বিজেপির কাছে পর্যুদস্ত হয়ে ভূমিহারা
অন্যদিকে, পদ্মশিবির রাজ্যে ২০১৯ সালের নির্বাচনে ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১৮টিতে জয় পায়। ২ থেকে বেড়ে এক লাফে পৌঁছে যায় ১৮-তে। এই উত্থান তৃণমূলের কাছেও হানিকর হয়ে ওঠে। তৃণমূল ৪২-এ ৪২-এর লক্ষ্যপূরণ করে গিয়ে ২০১৪ সালে প্রাপ্ত ৩৪ আসনও দখলে রাখতে পারেনি। তারা হ্রাস পেয়ে ২২টি লোকসভা আসন নিয়ে সন্তুষ্ট হয়।
কৌশল রূপায়ণ এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অনমনীয়তা
কংগ্রেসের চার থেকে নেমে দুই হলেও, সিপিএম তথা বামফ্রন্টের ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে প্রাপ্তির ভাণ্ডার শূন্য থেকে যায়। এই অবস্থায় গত এক বছরে বিজেপি প্রভূত ক্ষমতা নিয়ে তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে শুরু করে বাম ও কংগ্রেসকে সরিয়ে তাঁরাই হয়ে যায় তৃণমূলের প্রকৃত চ্যালেঞ্জার। কৌশল রূপায়ণ এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে নমনীয়তার অভাব প্রকট হয়ে ওঠে কংগ্রেস এবং বামফ্রন্ট নেতৃত্বের।
কংগ্রেস এবং সিপিএমের আদর্শ সম্পূর্ণ ভিন্ন, তবু...
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন কংগ্রেস এবং সিপিএমের আদর্শ সম্পূর্ণ ভিন্ন এবং মতাদর্শেরও পার্থক্য রয়েছে। তবে জনগণের বৃহত্তর স্বার্থের জন্য উভয় পক্ষকেই রাজ্যে বিজেপি এবং তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে নমনীয় হতে হবে। কিন্তু দেওয়ালে পিঠ থেকে যাওয়া সত্ত্বেও আদর্শ আঁকড়ে পড়ে থাকছে তারা। বিজেপি তাদের শূন্যস্থান পূরণ করে ফেলছে।
তৃণমূল এবং বিজেপির ভোট শেয়ারকে চ্যালেঞ্জ
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তৃণমূল এবং বিজেপির ভোট শেয়ারের মধ্যে দশ শতাংশেরও বেশি তৃণমূল বিরোধী ও বিজেপি বিরোধী ভোট রয়েছে। তারা সিপিএম-কংগ্রেসের দিকে আসতেই পারে। রাজ্যে সিপিএম এবং কংগ্রেস জোটের প্রভাব যদি ঠিকঠাক পড়ে বা তারা সঠিকভাবে কাজ করে তবে শাসকদল তৃণমূল এবং বিরোধী বিজেপির সামনে কিছু সমস্যা তৈরি করতে পারে।
মুকুল ঝরালে কী লাভ হয়! গাছ নাড়ালেও আম আর মিলবে না, কী বোঝাতে চাইলেন অনুব্রত