বাতিলের আগেই ব্যাঙ্কে তিন কোটি জমা বিজেপি-র! তোপ দেগে তদন্ত চাইল সিপিএম
নোট বাতিল ইস্যুতে রাজ্যে এবার সম্মুখ সমরে বিজেপি ও সিপিএম। সিপিএমের পক্ষ থেকে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, ৫০০ ও হাজার টাকার নোট বাতিল ঘোষণার আগেই ব্যাঙ্কে টাকা জমা দিয়েছে বিজেপি।
কলকাতা, ১২ নভেম্বর: নোট বাতিল ইস্যুতে রাজ্যে এবার সম্মুখ সমরে বিজেপি ও সিপিএম। সিপিএমের পক্ষ থেকে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, ৫০০ ও হাজার টাকার নোট বাতিল ঘোষণার আগেই ব্যাঙ্কে টাকা জমা দিয়েছে বিজেপি। এক-আধ টাকা নয়, ব্যাঙ্কে রাজ্য বিজেপি-র পক্ষ থেকে ৩ কোটি টাকা জমা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
শুক্রবার বিধানসভায় বিজেপিকে লক্ষ্য করে এই তির ছোড়েন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। বিজেপি-র পাল্টা দাবি, সিপিএমের মুখে এইসব কথা মানায় না। বৈধ বলেই ওই টাকা ব্যাঙ্কে লেনদেন করা হয়েছে প্যানকার্ড দেখিয়ে। বিধানসভায় সুজন চক্রবর্তীর এই অভিযোগ আনার পরই আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সাংবাদিক সম্মেলন করেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।
তাঁর অভিযোগ, নভেম্বরের ১ থেকে ৮ তারিখের মধ্যে তিন দফায় তিন কোটি টাকা ব্যাঙ্ক জমা করেছে বিজেপি। কেন্দ্রের শাসকদল আগে থেকেই এই সঙ্কট আসছে বলে জানত বলেই আগেভাগে কাজ গুছিয়ে নিয়েছে। সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়ুক নিজেরা যেন নিরাপদে থাকেন, সেই ব্যবস্থা করে ফেলা হয় আগে থেকেই। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সূর্যকান্তের এই দাবি সমূলে উৎখাত করেছেন। তাঁর দাবি, রাজ্য বিজেপি টাকা জমা দিয়েছে ঠিকই, কিন্তু তা নেহাতই কাকতালীয় ব্যাপার।
বিজেপি রাজ্য সভাপতিই যা-ই বলুন সুর্যবাবুর যুক্তি, মোদীর নোট বাতিলের ঘোষণার ঠিক আগে রাজ্য বিজেপির অ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণ অর্থ জমার ব্যাপারটি সম্পূর্ণ পরিকল্পিতই। এ নিয়ে তদন্ত দাবি করছে সিপিএম। সূর্যকান্তবাবু বলেন, অমিত শাহর কাছে জানতে চাইছি, প্রত্যেক সপ্তাহে এত টাকা পড়লে তো সারা বছরে দেড়শো কোটি টাকা জমা পড়ার কথা! স্পষ্ট করুন এই টাকার উৎস। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অবিলম্বে এই বিষয়টি খতিয়ে দেখুক, চান সুর্য-সুজনরা।
উল্লেখ্য মঙ্গলবার রাতারাতি ৫০০ ও হাজার টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। বুধবার থেকেই সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে ওঠে। তা আজও অব্যাহত। এরই মধ্যে কেন্দ্রের শাসকদল নোট বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে। রাজনৈতিক-তরজা চলছিলই, এরই মধ্যে নোট-বিতর্ককে অন্যমাত্রা এনে দিল সিপিএম।