'কোথা থেকে আসবে টাকা?', মুখ্যমন্ত্রী মমতার 'ভোটমুখী' বাজেটকে কটাক্ষ বিরোধীদের
রাজ্যের বাজেট পেশের মাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়েছেন মানুষের মন জয় করতে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই বাজেটকেই কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতারা। মমতার প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে একদিকে যাখানে নিজের ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। সেখানে সিপিএম-এর পরিষদীয় দলনেতার সুজন চক্রবর্তীর অভিযোগ, ভোট পেতেই এই বাজেট পেশ করেছেন মমতা।
কীভাবে মুখ্যমন্ত্রী এতগুলি প্রকল্প ঘোষণা করলেন?
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাবিত বাজেটকে কটাক্ষ করে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'বর্তমানে অর্থনৈতিক যা পরিস্থিতি তাতে কীভাবে মুখ্যমন্ত্রী এতগুলি প্রকল্প ঘোষণা করলেন, এত কোটি টাকা বরাদ্দ করলেন জানি না। কোথা থেকে আসবে এত টাকা। সাধারণ মানুষ প্রকল্পের প্রহসন প্রত্যাখ্যান করবে বলেই আমার বিশ্বাস।'
মানুষকে বিভ্রান্ত করছে সরকার
এদিন শমীক ভট্টাচার্য আরও বলেন, 'এতদিন দুয়ারে সরকারে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের নামে মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে সরকার। বলা হচ্ছে ১০ কোটি মানুষ ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পরিষেবা পাবে, অথচ বরাদ্দ সামান্য কিছু টাকা। অশোকনগরের তেল উত্তোলনে কর্মসংস্থান থেকে শুরু করে দেউচা-পাচামি সবকিছুই কেন্দ্রের, কিন্তু রাজ্য নিয়োগের স্বপ্ন দেখাচ্ছে। যা ঠিক নয়।'
এতদিন পর মুখ্যমন্ত্রীর ওদের কথা মনে পড়ল?
এদিকে মমতা এদিন পার্শ্বশিক্ষকদের মন গলাতে বেশ কয়েকটি ঘোষণা করেন। সেই প্রসঙ্গে এদিন শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'অনেকদিন ধরে পার্শ্বশিক্ষকরা আন্দোলন করছেন। প্রায় একবছর ধরে প্রতিদিন বিকাশ ভবনের সামনে দেখছি ওনারা অবস্থান করছেন। আজ এতদিন পর মুখ্যমন্ত্রীর ওদের কথা মনে পড়ল।'
এটা কোনও বাজেটই নয়
এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাজেট প্রস্তাবনার সময় অধিবেশন বয়কট করে বাম-কংগ্রেস। পরে মমতার বাজেট প্রসঙ্গে কটাক্ষের সুরে সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'অযথা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন উনি। এটা কোনও বাজেটই নয়। ৫০ কোটি টাকার উপর ঘাটতি। উনি যা বলছেন সবই পরবর্তী ৫ বছরের জন্য। কিন্তু আপনি থাকবেন ২ মাস। আচমকা ভোটের আগে অনেক কিছু মনে পড়ছে। আগে কেন মনে পড়েনি।'