বদলা নিতেই ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল! ফাঁস করবেন কঙ্কাল কাণ্ড, বললেন সুশান্ত ঘোষ
সর্বোচ্চ আদালতের অনুমতি মিলেছিল আগেই। এবার সাসপেনশন উঠছে ৫ ডিসেম্বর। তারপর ৬ ডিসেম্বর নিজের জেলায় পা রাখতে চলেছেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা একসময়ের দোর্দণ্ডপ্রতাপ সিপিএম (cpim) নেতা সুশান্ত ঘোষ (sushanta ghosh)। বেনাচাপড়া কঙ্কাল কাণ্ডের ঘটনাও তিনি রাজ্যবাসীকে জানাবেন বলে জানিয়েছেন।
তুললেন ক্যাপসুল লিফট প্রসঙ্গ! পিকে স্ট্র্যাটেজিস্ট মাত্র, জল্পনা বাড়িয়ে আর যা বললেন মদন মিত্র

নয়বছর পর খাসতালুকে
২০১১-র নির্বাচনে যেখানে যাদবপুর থেকে হেরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, সেই সময়ে নিজের গড় বাঁচিয়ে জিতেছিলেন সুশান্ত ঘোষ। কিন্তু তারপর মামলার কারণে তাঁর আর ঢোকা হয়নি গড়বেতায়। বেনাচাপড়া কঙ্কাল কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে অনুমতি পেয়েছেন। ঠিক হয়েছে ৬ ডিসেম্বর তিনি গড়বেতায় যাবেন। জানা গিয়েছে কমপক্ষে ১০ হাজার কর্মী সমর্থনেক মিছিল নিয়ে তিনি গড়বেতায় ঢুকবেন।
সোমবার আলিমুদ্দিন স্ট্রিট থেকে বেরনোর সময় তিনি জানিয়েছেন, ছয় ডিসেম্বর জেলায় যাচ্ছেন তিনি। নয় বছর পর ফিরছেন। তিনি বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে এই সরকার বদল নয় বদলা নিতে ক্ষমতায় এসেছিলো। যেভাবে তৃণমূল একসময়ে বিরোধী দল শূন্য করে দিয়েছিল, আজ সেই দশাই তাঁদের হচ্ছে। গণতন্ত্রে বিরোধীদের ভূমিকা একসময় এই সরকার অস্বীকার করেছিল বলে অভিযোগ করেছেন সুশান্ত ঘোষ। তবে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে কোনও কথা বলতে রাজি হননি। বলেছেন, এটা তাঁদের দলের অভন্তরীণ বিষয়।

জেলা সম্পাদকমণ্ডলীতে পুনর্নিয়োগ
আদালতের অনুমতি পাওয়ার পরে সুশান্ত ঘোষের দাবি ছিল, জেলা পার্টির সম্পাদকমণ্ডলীতে ফিরিয়ে নিতে হবে। সেই মতো সোমবারই তাঁকে জেলা সম্পাদকমণ্ডলীতে পুনর্নিয়োগের চিঠি দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে নিজের গড়ে ফেরার আগে, দলের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে সোমবার তিনি আলোচনা করেছেন। জানা গিয়েছে, পরবর্তী সময়ে তাঁকে সিপিএম-এর রাজ্য কমিটিতেও স্থান দেওয়া হবে। দলের তরফে জঙ্গলমহলের জেলাগুলির দেখভালের দায়িত্ব তাঁকেই দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার
ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সুশান্ত ঘোষকে নিয়ে প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, মন্ত্রী হওয়ার জন্য সুশান্ত ঘোষ কমিউনিস্ট পার্টিতে আসেননি। , ৩৪ বছরের বাম শাসনে ১৫ বছর মন্ত্রী ছিলেন। তিনি আর পাঁচটা সিপিএম কিংবা বামমন্ত্রীদের মতো নিজের স্বার্থ গোপন করে শাসকের সঙ্গে চুক্তি করে বামফ্রন্টকে গালাগালি করেননি।
প্রাক্তন মন্ত্রীর হয়ে প্রচারও শুরু করেছেন অনুগামীরা। পোস্টারও দেওয়া হয়েছে। তাতে লেখা হয়েছে, কর্মীদের দাবি মেনে সুশান্ত ঘোষকে দলের সামনের সারিতে আনা হোক। টাইগার ইজ ব্যাক বলেও কোথাও কোথাও লেখা হয়েছে।

কঙ্কাল কাণ্ড নিয়ে সুশান্ত ঘোষ
তৃণমূল সরকার রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরেই সুশান্ত ঘোষের ওপরে চেপে বসেছিল বেনাচাপড়া কঙ্কাল কাণ্ড। যার জন্য সুশান্ত ঘোষকে জেলও খাটতে হয়েছিল। মুক্তির পর থেকে ছিলেন কলকাতায়। ছিল না নিজের গ্রামের বাড়িতে ঢোকার অনুমতি। তবে সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি সেই অনুমতি দিয়েছে। সুশান্ত ঘোষ ইতিমধ্যেই বলেছেন, কঙ্কাল কোথায় কীভাবে এল তার সবটাই জানানো হবে রাজ্যবাসীকে।