রামে যাওয়া বাম ভোট ফেরাতে দাওয়াই, ত্রিমুখি লড়াইয়ে অবস্থান স্পষ্ট করলেন সূর্যকান্তের
গরিব মানুষের ভোট ভাগ নয়। আর বিজেপিকেও (bjp) ভোট নয়। ভোট দেওয়ার আহ্বান বাম-কংগ্রেসের জোটকেই। চুঁচুড়ায় সংযুক্ত মোর্চার সমর্থিত ফরওয়ার্ডব্লক প্রার্থী প্রণব ঘোষের সমর্থনে সভা করেন সিপিএম রাজ্য (cpim) সম্পাদক সূর্
গরিব মানুষের ভোট ভাগ নয়। আর বিজেপিকেও (bjp) ভোট নয়। ভোট দেওয়ার আহ্বান বাম-কংগ্রেসের জোটকেই। চুঁচুড়ায় সংযুক্ত মোর্চার সমর্থিত ফরওয়ার্ডব্লক প্রার্থী প্রণব ঘোষের সমর্থনে সভা করেন সিপিএম রাজ্য (cpim) সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র (suryakanta mishra) । সেই সভা থেকে গেরুয়া শিবিরে চলে যাওয়া বাম ভোটকে ফেরাতে আহ্বান জানান তিনি।
এবার ভোট বাম-কংগ্রেস জোটকে
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে অনেক হিসেবই উল্টে গিয়েছিল। যা নিয়ে সূর্যকান্ত মিশ্র বলেছেন, সেই সময় যাঁরা তৃণমূলকে হঠাতে বিজেপিকে ভোট দিয়েছিলেন, কিংবা বিজেপিকে হঠাতে তৃণমূলকে ভোট দিয়েছিলেন, সেই সময় রাজ্যে বাম-কংগ্রেসের জোট ছিল না। দ্বিমুখি লড়াই হয়েছিল সেই সময়। এবার রাজ্যে বাম-কংগ্রেসের জোট তৈরি হয়েছে। তারাই পারবে মানুষের সমস্যার সমাধান করতে।
দুভাগ হয়েছিল গরিবদের ভোট
সূর্যকান্ত মিশ্র বলেছেন, ২০১৯-এ গরিব মানুষের ভোট দুভাগ হয়ে গিয়েছিল। আর এবার অনেকেই ভাবছেন তৃণমূলকে সরাতে বিজেপিকে ভোট দিতে হবে। কিন্তু তা না করে বাম-কংগ্রেস জোটকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে অনেক সংখ্যালঘু ভয়ে তৃণমূলকে ভোট দিয়েছিলেন। তাঁদের সূর্যকান্ত মিশ্র আশ্বস্ত করেন বাম-কংগ্রেসের জোট নিয়ে।
ভোটের শতাংশই বলেছিল বিজেপিতে ভোট সরে যাওয়ার কথা
২০১৬-র নির্বাচনের বাম ভোট কিছুটা হলেও অবশিষ্ট ছিল। কিন্তু ২০১৯-এর নির্বাচনে তা ৭ শতাংশে নেমে যায়। আর শতাংশের হিসেবে যা বাম ভোট কমেছিল, তার সবটাই বিজেপির সঙ্গে দেখা গিয়েছিল ২০১৬-তে তৃণমূল পেয়েছিল ৪৪ শতাংশ ভোট। অন্যদিকে বাম-কংগ্রেস ৩৮ শতাংশ, আর বিজেপি ১০ শতাংশ। ২০১৯-এর তৃণমূল ৪৩ শতাংশ ভোট। বিজেপির প্রাপ্ত ভোট বেড়ে হয় ৪০ শতাংশের মতো। বাম কংগ্রেসের জোট না হওয়ায় তারা আলাদাভাবে ৭ ও ৫ শতাংশ ভোট পেয়েছিল।
বাম ভোট গিয়েছিল রামে
২০১৯-এর ফলাফলের নিরিখে অনেকেই বলেন বামেদের ভোট গিয়েছিল রামে। কেননা বাম ভোটারদের একটা বড় অংশ তৃণমূলকে ভোট না দিয়েছিল বিজেপিকে। যদিও তা মানতে চাননি বাম নেতারা। পাল্টা বাম নেতারা বলেছিলেন এবং প্রচারে বলছেন রাজ্যে জ্যোতি বসু এবং বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শাসনে দাঁত ফোঁটাতে পারেনি বিজেপি। কিন্তু ১৯৯৮ সালে তৃণমূল গঠনের পরে তারাই সুযোগ করে দেয় বিজেপিকে। আর আরএসএস-এর তরফে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুর্গা বলে সম্বোধন করা হয়েছিল।
মনোনয়ন জমার দিয়েই 'অন্যসুর' তৃণমূল প্রার্থীর! 'গদ্দার'কেই প্রার্থী, মমতাকে আক্রমণ বাম-কংগ্রেসের