বামেদের কাজ করেছেন মমতা, প্রশংসা প্রবীন সিপিআইএম নেতা কান্তি গাঙ্গুলির
স্বাধীনতার পরে এবারই প্রথম যখন বিধানসভায় নেই কোনও বাম সদস্য। সেই পরিস্থিতিতে বিধানসভা নির্বাচনে দলের জয়ের পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee) বলেছিলেন, তিনি বামেদের বিরোধী হলেও, তাদেরকে শূন্য হিসেবে দেখতে চান ন
স্বাধীনতার পরে এবারই প্রথম যখন বিধানসভায় নেই কোনও বাম সদস্য। সেই পরিস্থিতিতে বিধানসভা নির্বাচনে দলের জয়ের পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee) বলেছিলেন, তিনি বামেদের বিরোধী হলেও, তাদেরকে শূন্য হিসেবে দেখতে চান না। তারপরেই প্রবীণ সিপিএম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যয় (kanti ganguly) মন্তব্য করলেন, ধর্মীয় ফ্যাসিবাদকে রুখে দিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা প্রশংসনীয়।
বিজেপির বদলে বামেরা আসন পেলে ভাল হত
একদিকে যেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বামেদের তিনি শূন্য হিসেবে দেখতে চান না অন্যদিকে তিনি বলেছেন, বিজেপির বদলে বামেরা আসন পেলে ভাল হত। যেখানে বিজেপি আসন সংখ্যা ৩ থেকে বাড়িয়ে ৭৮ করেছে, সেই জায়গায় বামেদের ফল শূন্য। যদিও এর পাশাপাশি তিনি বামেদের আক্রমণ করে বলেছেন, নিজেদের বিজেপির কাছে বিক্রি করে দিয়ে সাইনবোর্ড হয়ে গিয়েছেন। এব্যাপারে তাদের ভাবনা চিন্তা করা উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
মমতার প্রশংসা
তৃণমূল মমতা কেন্দ্রিক। ফলে হ্যাট্রিকের সাফল্য একা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই সাফল্য নিয়ে বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা কান্তি গাঙ্গুলি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর নীতিগত পার্থক্য থাকলেও ফ্যাসিবাদকে রুখতে তাঁর ভূমিকা প্রশংসনীয়। যে কাজ বামেদের করা উচিত ছিল, সেই কাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেছেন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। প্রসঙ্গ উল্লেখ্যা পরপর তিনবার তিনি রায়দিঘি কেন্দ্র থেকে পরাজিত হলেন। প্রচারের সময় নিজের কিংবা আব্বাস সিদ্দিকিকে নিয়ে প্রচারসভায় ভিড় হলেও মানুষ যে তাঁকে ভোট দেয়নি তা ফল থেকেই পরিষ্কার। এবার তাঁকে ৩৬৯৩১ জন সমর্থন করেছেন।
বাংলার মানুষের প্রশংসা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকার প্রশংসা করার পাশাপাশি বাংলার মানুষের ভূমিকারও প্রশংসা করেছেন তিনি। বলেছেন, ২০২১-এর নির্বাচনে বাংলার মানুষ ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছেন। সেই কারণে তিনি বাংলার মানুষকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন।
বিজেপিকে নির্মূল করার ডাক
রাজ্য থেকে বিজেপিকে নির্মূল করার ডাক দিয়ে কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, যেসব জায়গায় তাদের শিকড় ছড়িয়েছে, তা উপড়ে ফলতে হবে। সামনে থাকা পুরসভা ভোটে বিজেপিকে হারানোর ডাক দিয়েছেন তিনি। রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা বন্ধের ডাক দেওয়ার পাশাপাশি করোনা মোকাবিলায় সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেছেন তিনি।
ভোটে জেতার পর থেকে নীরব, যোগ দিলেন না বিজেপির ধরনাতেও! মুকুল রায়ের অবস্থান নিয়ে জল্পনা