বাংলায় বিজেপির হাতে তৃণমূল কংগ্রেস কোণঠাসা হতেই অধিকাংশ পার্টি অফিস খুলল সিপিএম
বাংলায় বিজেপির হাতে তৃণমূল কোণঠাসা হতেই অধিকাংশ পার্টি অফিস খুলল সিপিএম
রাজ্যের সিপিএম দখল হয়ে যাওয়া পার্টি অফিসগুলির মধ্যে ৮০ শতাংশেরও বেশি পার্টি অফিস পুনরায় দখল করতে পেরেছে। ২০১১-তে রাজ্যে ক্ষমতা হারানোর পর থেকে অধিকাংশ পার্টি অফিস হয় বেদখল হয়ে গিয়েছিল, না হলে সেগুলি খোলা যাচ্ছিল না। কিন্তু ২০১৯-এর নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপি তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জোর টক্কর দিতেই বেশির ভাগ পার্টি অফিস সিপিএম ফেরত পেয়েছে, কিংবা কাজ শুরু করতে পেরেছে তারা।
২০১১-র পর থেকে পার্টি অফিস দখল
২০১১-তে রাজ্যে ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান হয়। ক্ষমতা দখল করে তৃণমূল। ক্ষমতার আসার পর থেকেই তৃণমূল তাদের পার্টি অফিস দখল করে নিচ্ছে কিংবা পার্টি অফিস খুলতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করে আসছিল। যদিও তৃণমূলের অনেক নেতার উসকানি ছিল এর পিছনে, অভিযোগ ছিল সিপিএম-এর। গত সাতবছরে রাজ্যে প্রায় ৫০০ অফিস দখল হয়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ।
বাম ভোটেই লোকসভায় তৃণমূলের পরাজয়
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই, বেশিরভাগ জায়গাতেই বামকর্মীরা বিজেপির পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন, গত লোকসভা নির্বাচনে। যা অনেক আসনেই তৃণমূলকে পরাজিত করতে সাহায্য করেছিল।
পার্টি অফিস খুলতে সাহায্য তৃণমূলের
প্রেসিডেন্সি কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ অমল মুখোপাধ্যায়ের মতো মানুষ মনে করেন, তৃণমূল বিরোধী ভোট যাতে ভাগ করা যায় তার জন্যই তৃণমূল বামেদের পার্টি অফিস ফিরিয়ে দিয়েছে, কিংবা কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে। কেননা ২০১৯-এর নির্বাচনে রাজ্যে কার্যত তৃণমূলের সঙ্গে লড়াই হয়েছে বিজেপির।
বিজেপির ভোট বেড়েছে ২৩ শতাংশ
রাজ্যে ৪২ টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ১৮ টি। দুটি থেকে তাদের আসন বেড়ে হয়েছে ১৮ টি। অন্যদিকে তৃণমূলের আসন ৩৪ থেকে কমে হয়েছে ২২টি। তৃণমূলের ভোট ৩.৫ শতাংশ বাড়লেও, বিজেপির ভোট বেড়েছে ২৩ শতাংশ। যা ২০১৯-এ কমে যাওয়া বাম ভোটের সঙ্গে মিলে যায়। যেখানে ২০১৪তে ৩০ শতাংশ ভোট পেয়েছিল বামেরা, সেখানে ২০১৯-এর নির্বাচনে তারা ৭.৫ শতাংশ ভোট পেয়েছে।
তৃণমূলের ভয়েই বিজেপিকে ভোট
রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অমল হালদার জানিয়েছেন, দলের কর্মী, সদস্যরা তৃণমূলের ভয় থেকে বাঁচতে বিজেপিকে ভোট দিয়েছিলেন। এখন তাঁরাই ফিরে এসে পার্টি অফিস খুলছেন।
খুলেছে ৮০ শতাংশের বেশি পার্টি অফিস
কথোপকথনের জবাবে জানা গিয়েছে সারা রাজ্যে যেসব পার্টি অফিস খুলেছে সিপিএম-এর সেই সংখ্যাটা জেলা জেলায় ৮০ থেকে ৯৫ শতাংশের মতো। কোচবিহারে যেখানে ২০১১-১৮-র মধ্যে ১৫০ পার্টি অফিস বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, সেখানে ৯০ শতাংশের বেশি অফিস খোলা গিয়েছে, বলে জানিয়েছেন জেলা নেতৃত্ব।
তিন তালাক থেকে ৩৭০ ধারা অবলুপ্তি নিয়ে তাড়াহুড়োর কী দরকার ছিল?ঝোড়ো ব্যাটিং-এ জবাব দিলেন মোদী