করোনা আতঙ্কের আবহে দুর্গাপুরে বয়স্কদের সহায়তায় এগিয়ে এল সিপিআইএম
করোনা আতঙ্কের আবহে দুর্গাপুরে বয়স্কদের সহায়তায় এগিয়ে এল সিপিআইএম
করোনার আতঙ্কে গৃহবন্দি গোটা বিশ্ব। ভারতেও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে এই রোগের জন্য সবথেকে বেশি ঝুঁকি রয়েছে বয়ষ্কদের। একথা মাথায় রেখেই এবার দুর্গাপুরে বয়স্কদের ত্রাণ বিলি করতে এগিয়ে এল সিপিএম।
১৫ই এপ্রিল পর্যন্ত মিলবে সাহায্য
সামাজিকভাবে মানুষের কাছে পৌঁছাতে সিপিএমের এই উদ্যোগ কার্যকরী হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। ৭৫জন স্বেচ্ছাসেবকের একটি দল গড়ে তোলা হয়েছে যারা বয়স্ক নাগরিকদের কাছে পৌঁছে তুলে আনবে তাঁদের সমস্যার কথা। ১৫ই এপ্রিল পর্যন্ত দলমত নির্বিশেষে বয়স্ক নাগরিকদের কাছে প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কথা জানিয়েছে সিপিএম।
বয়োজ্যেষ্ঠদের অসুবিধার কথা মাথায় রেখে উদ্যোগ সিপিএমের
এমনতর উদ্যোগের কারণ হিসেবে সিপিএম নেতৃত্ব করোনায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধা ও শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার অধিকতর সম্ভাবনাকে তুলে ধরেছেন। পশ্চিম বর্ধমানের জেলা কমিটির এক সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার জানিয়েছেন, "আমরা বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিকদের কাছে আর্জি জানিয়েছি যাতে তাঁরা বাড়িতে থাকেন। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় সামগ্রী বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে, শুধু সামগ্রীর মূল্য নেওয়া হবে।"
৭৫জন স্বেচ্ছাসেবকের ফোন নম্বর বিলি
সোমবার স্বেচ্ছাসেবকদের দলটি এলাকায় ঘুরে ঘুরে নিজেদের নম্বর বিলি করে। পঙ্কজবাবু জানিয়েছেন, "ফোন পাওয়ার পর যথাসত্বর নাগরিকদের কাছে প্রয়োজনীয় দ্রব্য পৌঁছে দেওয়া হবে।" তাঁর মতে, বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিকরা মূলত ঔষধি, দুধ, সবজির জন্যেই বাইরে যান। তাঁদের প্রত্যেকটি প্রয়োজন আমরা হাতের কাছে এনে দিতে সচেষ্ট।
মূল লক্ষ্য কি বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিকদের ভোটব্যাংক ?
সিপিএমের একজন স্থানীয় নেতৃত্বের মতে, "দুর্গাপুর মিউনিসিপ্যালিটির অন্তর্গত বুথে সর্বমোট ভোটারের সংখ্যা ৪লাখ, যার মধ্যে ১.৪০লাখ বয়োজ্যেষ্ঠ।আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে তাঁদের প্রত্যেকের কাছে পৌঁছে যাওয়া।"
রাজনীতির উর্দ্ধে গিয়ে মানুষের পাশে প্রত্যেকে
অন্যদিকে তৃণমূল ও বিজেপিও দুর্গাপুরবাসীর মধ্যে মাস্ক বিলি করেছে। দুর্গাপুরনিবাসী এক প্রাক্তন সরকারি কর্মী, যিনি তৃণমূল সমর্থক বলে পরিচিত, এদিন জানিয়েছেন, "আমি আর আমার স্ত্রীর যথেষ্ট বয়স হয়েছে। আতঙ্কিত হওয়া সত্ত্বেও আমাদের প্রতিদিনই বাজারে যেতে হচ্ছে। সিপিএমের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে আমাদের খুব সাহায্য করবে।"