গরু পাচারে অভিযুক্ত এনামুল হকের ১৪ দিনের হেফাজতের নির্দেশ
গরু পাচারে অভিযুক্ত এনামুল হকের ১৪ দিনের হেফাজতের নির্দেশ
গরু পাচার কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত এনামুল হককে ১৪ দিনের জেল হাজতের নির্দেশ দিল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত।
রাজ্য তথা দেশজুড়ে শোরগোল ফেলে দেওয়া গরু পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ব্যবসায়ী মহঃ এনামুল হক শুক্রবার সকালে আসানসোলের সিবিআই বিশেষ আদালতে হাজিরা দিয়ে আত্মসমর্পণ করে। তাকে নানা যুক্তি দেখিয়ে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে নিজেদের রিমান্ডে নেওয়ার জন্য বিচারকের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু দিল্লি হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের একাধিক মামলার নজির টেনে এনামুলের আইনজীবীরা সিবিআইয়ের সেই আবেদনের বিরোধিতা করেন। শেষ পর্যন্ত দীর্ঘ শুনানির শেষে সিবিআই বিশেষ আদালতের বিচারক জয়শ্রী বন্দ্যোপাধ্যায় এনামুলকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
শুক্রবার সকাল দশটার সময় এনামুল দুটি অত্যন্ত দামি গাড়িতে করে আসেন আসানসোল আদালতে। সঙ্গে তার আইনজীবীরা ছিলেন। তার মুখে মাস্ক ও একটি চাদর ঢাকা অবস্থায় ছিলো। জানা যায়, আদালত চত্বরে সে একটা চায়ের দোকানে বসে চাও খায়। তখন অবশ্য আদালতের কেউ জানতে পারেনি যে এনামুল হক সেখানেই আছে। এর কিছুক্ষণ পরে সিবিআইয়ের আইনজীবীরা আদালতে পৌঁছান। তারা একমাত্র জানতেন যে, এদিন এনামুল বিচারকের কাছে হাজিরা দিয়ে আত্মসমর্পণ করবে। স্বাভাবিকভাবেই আদালতে ঢোকার গেটের কাছে এনামুল আসতেই তার সঙ্গে সঙ্গে পেছনে পেছনে সিবিআইয়ের আইনজীবীরা সেখানে ঢুকে পড়ে। সিবিআইয়ের আইনজীবীরা টানা প্রথম পর্যায়ে এক ঘণ্টা ও দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও আধঘণ্টা শুনানিতে বারবার দাবি করেন এনামুলকে ১৪ দিনের জন্য তাদের রিমান্ডে দেওয়া হোক। কেননা তার বিরুদ্ধে ১২০/বি ধারায় অপরাধ ও ষড়যন্ত্রের মামলা আছে। তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন আছে।
এদিকে, এদিনই বিএসএফ কমান্ডেন্ট সতীশ কুমারকে ১১ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। এদিন ১০ দিনের জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে আবার আসানসোলের সিবিআই আদালতে তোলা হয় এই মামলার গ্রেফতার হওয়া বিএসএফের কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমারকেও। সতীশ কুমারের আইনজীবীরা তার বিরুদ্ধে কোনও তথ্য প্রমাণ সিবিআই এখনো পর্যন্ত পেশ করতে না পারায় তাকে জামিন দেওয়ার আবেদন বিচারকের কাছে করেন।
কিন্তু সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতে জানান, তারা বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহ করেছেন। আরও কিছু তথ্য বিএসএফের কাছ থেকে পেতে আরো ৭ দিনের মতো সময় লাগবে। সেজন্য তাকে জামিন দেওয়া হলে তিনি প্রভাবশালী হওয়ায় বিভিন্নভাবে প্রমাণ লোপাট করতে পারেন, এমন আশঙ্কা রয়েছে। এই কারণে তাকে আবার জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হোক। সিবিআইয়ের সেই আবেদন মেনে সতীশ কুমারের জামিন নাকচ করে ১১ দিনের জেল হাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
পরা যাবে না টি-শার্ট ও জিন্স! নির্ধারিত হল সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ 'ড্রেস কোড'