প্রথম দিনই বিপত্তি, রাজ্যে 'ফেল' কো-উইন অ্যাপ! কাগজেই নথিভুক্ত করোনা টিকা প্রাপকদের তথ্য
করোনার শেষের শুরু৷ প্রতীক্ষার অবসান৷ আজ, ১৬ জানুয়ারি শুরু হয় দেশজুড়ে করোনা টিকাকরণ৷ এই ঐতিহাসিক মুহূর্ত শুরু হওয়ার অপেক্ষায় এখন প্রস্তুত রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। প্রস্তুত রাজ্যের ভ্যাকসিনেশন সেন্টারগুলি। প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পরেই আজ সকালে এ রাজ্যেও শুরু হয় করোনার ভ্যাকসিনেশন। তবে প্রথম দিনেই বাঁধল গোল। কিন্তু আপাতত এ রাজ্যে প্রতিষেধক নেওয়ার আগে ও পরে কো-উইন অ্যাপে নাম তোলা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
কোউইন নিয়ে অভিযোগ
অভিযোগ, কোউইন অ্যাপে নাম তুলতে গিয়ে দেখা যায়, এক-একটি নামের জন্যই অতিরিক্ত সময় লাগছে। সারা দেশ জুড়ে ওই অ্যাপের ব্যবহার চলছে। তার ফলে সার্ভার বসে যাওয়াতেই সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাই প্রথম দিনে আপাতত ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে কাজের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য।
রাজ্যে করোনা প্রতিষেধক কোভিশিল্ড দেওয়া হবে
এ রাজ্যে করোনা প্রতিষেধক কোভিশিল্ড দেওয়া হবে। রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, এ রাজ্যের ২০৪টি সেন্টারে আজ শুরু হতে চলেছে এই ভ্যাকসিনেশন। প্রশাসন সূত্রে খবর, নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণেই এমন সিদ্ধান্ত। আজ প্রতিটি কেন্দ্রে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য যে একশো জনের নাম রয়েছে, তাঁদের নাম কো-উইন অ্যাপে নথিভুক্ত করার কথা।
কলকাতায় রয়েছে ১৮টি সেন্টার
এই ২০৪টি সেন্টারের মধ্যে কলকাতায় রয়েছে ১৮টি সেন্টার। এই ১৮টি সেন্টারের মধ্যে রয়েছে এসএসকেএম হাসপাতাল, কলকাতা মেডিকেল কলেজ, এনআরএস মেডিকেল কলেজ, আরজি কর মেডিকেল কলেজ, কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ, স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন, চিত্তরঞ্জন সেবাসদন, বিসি রায় শিশু হাসপাতাল, আইডি অ্যান্ড বিজি হাসপাতাল, এমআর বাঙুর হাসপাতাল।
আরও যেসব স্থানে চলবে টিকাককরণ
এছাড়া কলকাতা পৌরনিগমের ১১, ৩১, ৫৭, ৮২ ও ১১১ নম্বর ওয়ার্ডের আরবান প্রাইমারি হেলথ সেন্টার এবং বেসরকারি সেন্টার হিসাবে রয়েছে ঢাকুরিয়া এএমআরআই, ইএম বাইপাসের ধারে অবস্থিত অ্যাপোলো হাসপাতাল, মুকুন্দপুরে অবস্থিত আর এন টেগোর হাসপাতাল।
প্রতিটি ব্যাচের ভ্যাকসিনেশনের মধ্যে ৩০ মিনিটের ব্যবধান
প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পরে সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ তাদের সেন্টারে ভ্যাকসিনেশন শুরু করে দেওয়া হয়। চিকিৎসক, নার্স এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে শনিবার ১০০ জন ফ্রন্টলাইন হেলথ কেয়ার ওয়ার্কারকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এই ১০০ জনকে পাঁচটি ব্যাচে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি ব্যাচের ভ্যাকসিনেশনের মধ্যে ৩০ মিনিটের ব্যবধান রাখা হয়েছে।