দিল্লিতে দাঙ্গা বাধানোর জন্য ষড়যন্ত্র করেছিলেন খালিদ-তাহিররা, বলছে আদালত
জেএনইউর প্রাক্তন ছাত্রনেতা উমর খালিদ, বহিষ্কৃত আপ কাউন্সিলর তাহির হুসেন এবং অন্যরা গত বছর উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে দাঙ্গা বাধানোর জন্য ষড়যন্ত্র করেছিল বলে প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে। মঙ্গলবার আদালত দায়ের করা একটি অভিযোগপত্র গ্রহণ করে এমনই বার্তা দিয়েছেন চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দীনেশ কুমার।

চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে খাজুরি খাস এলাকায় সাম্প্রদায়িক হিংসা সংক্রান্ত মামলায় খালিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার মতো উপাদন মজুত রয়েছে। আদালত জানিয়েছে, এক সাক্ষীর বয়ানে উঠে এসেছে তাহির হুসেনের প্রসঙ্গ। মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসাবে তিনি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার জন্য অর্থ ব্যয় করেছিলেন বলে অভিযোগ।
অভিযোগপত্রে অভিযোগ করা হয়েছে যে, খালিদ দিল্লির বিভিন্ন অংশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা উস্কে দেওয়ার অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের উস্কানির কারণে একদল জনতা জড়ো হয়েছিল, যে ব্যক্তিরা ছিনতাই করেছিল এবং ঘরবাড়ি ও দোকানপাট সম্পত্তি পুড়িয়ে দিয়েছিল বলে অভিযোগ। তারা সরকারী সম্পত্তিও ধ্বংস করে দিয়েছিল বলে জানানো হয়েছে অভিযোগপত্রে।
আদালতে কাসানা অভিযোগ করেছেন, অভিযুক্ত হুসেন নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের অর্থ বিতরণ করেছিল। বিবৃতিতে বলা হয় যে, ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি তিনি হুসেনকে শাহিনবাগে নিয়ে গিয়েছিলেন। যেখানে গাড়িটি নামানোর পরে তিনি একটি অফিসে প্রবেশ করেছিলেন এবং কিছুক্ষণ পরে তিনি খালিদ সাইফির সাথে উমর খালিদকে অফিসের ভিতরে ঢুকতে দেখেছিলেন।
আদালত জানায় এক-দেড় ঘন্টা পরে তাহির হুসেন অফিস থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন। সাক্ষীর বক্তব্যটি প্রমাণ করার পক্ষে যথেষ্ট যে, ওই সময়ে উমর খালিদ তাহির হুসেনের সংস্পর্শে ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে প্রাথমিক তথ্য প্রমাণের জন্য যথেষ্ট পরিমাণে তথ্য রয়েছে যে, তিনিই প্রধান ষড়যন্ত্রকারী ছিলেন। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার জন্য অর্থ ব্যয় করেছিলেন এবং ব্যক্তিদের ছিনতাই করতে এবং সম্পত্তি পুড়িয়ে দেওয়ার জন্য উসকানি দিয়েছিলেন।