ধর্ষণের মামলা টিকল না, বেকসুর খালাস রুদ্রনীল ঘোষ
বাংলা সিরিয়ালের এক অভিনেত্রী ২০০৫ সালের ৫ জানুয়ারি পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন রুদ্রনীল ঘোষের বিরুদ্ধে। তিনি বলেছিলেন, ২০০৩ সালে একটি ফাঁকা ফ্ল্যাটে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। তিনি কান্নায় ভেঙে পড়লে রুদ্রনীল ঘোষ তাঁকে বিবাহের প্রতিশ্রুতি দেন। সেই মতো ম্যারেজ রেজিস্ট্রারের কাছে গিয়ে বিয়ের নোটিশ দিয়ে আসা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিয়ে করতে বেঁকে বসেন রুদ্রনীলবাবু। ফলে রিজেন্ট পার্ক থানায় ধর্ষণ ও প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করা হয়। এতদিন ধরে মামলা চলার পর গত ২২ জুলাই এর রায় দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিচারক অসুস্থ থাকায় রায়দান পিছিয়ে যায়। অবশেষে আজকে রুদ্রনীল ঘোষকে সব অভিযোগ থেকে মুক্তি দিল আলিপুর আদালত। আদালত বলেছে, তাঁর বিরুদ্ধে উপযুক্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, ইদানীং তৃণমূল কংগ্রেসের খুবই ঘনিষ্ঠ লোক হিসাবে পরিচিত হয়েছেন রুদ্রনীলবাবু। উপযুক্ত প্রশিক্ষণ না থাকা সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গ বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সংসদের সভাপতি করা হয় তাঁকে। এ নিয়ে বিরোধীরা সরব হয়েছিল। পাশাপাশি, রুদ্রনীল ঘোষের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কেন তাঁকে তৃণমূল কংগ্রেসের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা যাচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। আজকের রায়ের পর স্বাভাবিকভাবেই ব্যাকফুটে চলে গেল বিরোধীরা।