বিছানা লন্ডভন্ড, ট্রলি ব্যাগ থেকে চুঁইয়ে বেরোচ্ছে রক্ত, দরজা খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ
বিছানা লন্ডভন্ড, সারা ঘরে ছড়িয়ে রয়েছে চাপ চাপ রক্ত। বাথরুম খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ। ট্রলি ব্যাগ থেকে চুঁইয়ে বেরিয়ে আসছে রক্ত।
বিছানা লন্ডভন্ড, সারা ঘরে ছড়িয়ে রয়েছে চাপ চাপ রক্ত। বাথরুম খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ। ট্রলি ব্যাগ থেকে চুঁইয়ে বেরিয়ে আসছে রক্ত। দুটি ব্যাগে টুকরো টুকরো করে কাটা দম্পতির দেহাংশ ভর্তি। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে নরেন্দ্রপুর থানার তিউড়িয়ায় একটি বাগান বাড়িতে। পুলিশ এই জোড়া খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে মৃত দম্পতির নাম প্রদীপ বিশ্বাস ও আলপনা বিশ্বাস। ২০ বছর ধরে ওই বাগানবাড়িতেই থাকলেন বিশ্বাস দম্পতি। রবিবার রাতে শেষবারের মতো কথা হয় তাঁদের। দাদার খোঁজ না পেয়ে ভাই জয় বিশ্বাস ওই বাড়িতে আসেন। তারপরই প্রকাশ্যে আসে ঘটনা। দরজা খোলা দেখেই ঘরের ভিতরে ঢুকে পড়ে তিনি দেখতে পান নৃশংস ঘটনা।
খবর দেওয়ার হয় নরেন্দ্রপুর থানায়। পুলিশ এসে দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। খুনের কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সোমবার রাতেই খুন হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান। এবং খুনের মোটিভ দেখে পুলিশ মনে করছে খুনিরা দম্পতির পূর্ব পরিচিত।
কেননা দরজা ভাঙা বা জোর করে খোলার কোনও নমুনা ছিল না। দম্পতি দরজা খুলে দিয়েছিল। তারপরই ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে স্বামী-স্ত্রীকে। এবং ট্রলি ব্যাগে দেহ বন্দি করে অপরাধী বা অপরাধীরা পালিয়ে গিয়েছে। তদন্তকারীরা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে। এলাকায় সিসিটিভির ফুটেজ পাওয়া যায় কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রবিবার রাতে চার-পাঁচজন ওই বাড়িতে গিয়েছিল বলেও প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে পুলিশ।
এই ঘটনায় প্রোমোটার যোগ রয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। ঘরের অবস্থা লন্ডভন্ড ছিল। ডাকাতির উদ্দেশ্যও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তারপর খুনের পর দেহ ট্রলি ব্যাগের ভিতরে রেখেও বাথরুমে রেখে যাওয়া হল? দেহ লোপাট করাই যদি উদ্দেশ্য হবে, কেন বাগান বাড়ি সংলগ্ন নির্জন কোনও এলাকায় ফেলে গেল না তারা? হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দারা এই সবই খতিয়ে দেখছে।