প্রেমিকার মোবাইলে ঘনঘন আসে কার ফোন, মহাসপ্তমীর সকালে ভয়ঙ্কর পরিণতি যুগলের
প্রেমিকা সারাক্ষণ অন্য ফোনে কথা বলতেই ব্যস্ত। তা নিয়েই ঝামেলা বেধেছিল যুগলের। খানিক বাকবিতণ্ডার পর পরিণতি হল ভয়ঙ্কর।
প্রেমিকা সারাক্ষণ অন্য ফোনে কথা বলতেই ব্যস্ত। তা নিয়েই ঝামেলা বেধেছিল যুগলের। খানিক বাকবিতণ্ডার পর পরিণতি হল ভয়ঙ্কর। অভিমানে তিনতলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে পপাত ধরণীতল প্রেমিক। আর সেই শোকে প্রেমিকাও দিলেন মরণ-ঝাঁপ। উভয়েই মহাসপ্তমীর সকালে হাসপাতালের বেডে শুয়ে পাঞ্জা লড়ছেন মৃত্যুর সঙ্গে।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের শ্রীনগরে। পুলিশ জানিয়েছে, তিন তলার ছাদ থেকে ঝাঁপ দেওয়া দুই তরুণ-তরুণীর নাম অর্ণব পাটুয়ারি ও পায়েল মণ্ডল। তারা বর্ধমানের কাটোয়ার বাসিন্দা। শহরের একটি আর্ট কলেজের পড়ুয়া তাঁরা।
প্রাথমিক তদন্তে এই ঘটনার পিছনে তৃতীয় কোনও ব্যক্তি, কিংবা অন্য কোনও সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া বা সন্দেহ রয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। অর্নবের সঙ্গে একই মেসে থাকত আর এক ছাত্র। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
মাস খানেক আগে সোনারপুরে ওই মেস বাড়ি ভাড়া নেন অর্নব। তারপর থেকে মাঝেমধ্যেই পায়েল ওই বাড়িতে অর্নবের সঙ্গে দেখা করতে আসতেন। এদিনও এসেছিলেন। তারপর তাঁরা দুজনেই ছাদে কথা বলছিলেন। কিন্তু বারবার একটি ফোন আসছিল পায়েলের মোবাইলে। সেই ফোনে কথা বলতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েন পায়েল।
তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসে পায়েলের বারবার অন্য ফোনে কথা বলা এবং তাঁর ফোনে বারবার ফোন আসা নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এরপরই প্রেমিকার উপরে অভিমান করে ছাদ থেকে নিচে লাফ দেয় অর্নব। তা দেখে পায়েলও ঝাঁপ দেয়। পুলিশ দুই পরিবারের সঙ্গে কথা বলছে। খতিয়ে দেখছে, কেন ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালাল তাঁরা।