অশোভন আচরণ ছাত্রের, রাগের মাথায় চুল কেটে স্কুলে ঘুরিয়ে শাস্তি দিলেন প্রধান শিক্ষক
বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রকে চুলের মুঠি ধরে স্কুল ভিতরে ঘোরানোর পর চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। একজন ছাত্রের উপর এই ধরনের আচরণ করার প্রতিবাদে নিগৃহীত ছাত্রের পরিবার ও অভিভাবকেরা আজ বিদ্যালয়ে এসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ শহরের সুদর্শনপুর দ্বারিকা প্রসাদ উচ্চ বিদ্যাচক্র স্কুলে। এই অপমানের পর ও আতঙ্কের জেরে এই বিদ্যালয়ে আর পড়তে চাইছে না নিগৃহীত একাদশ শ্রেণির ছাত্র রবীন্দ্র সরকার।
এদিকে অভিভাবককে না জানিয়ে ছাত্রকে এধরনের শাস্তি দেওয়ার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন ছাত্রের মা। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ দত্ত জানিয়েছেন, স্কুলের নিয়ম শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার পাশাপাশি ওই ছাত্রের নানা অশোভনীয় আচরণের অভিযোগ আছে তাঁর কাছে। বহুবার এসেছে একই ধরনের অভিযোগ। তাই একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে ওই ছাত্রকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে৷ এবং তার চুলের রঙ করা অংশটি কেটে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় আজ সুদর্শনপুর দ্বারিকা প্রসাদ উচ্চ বিদ্যাচক্র স্কুলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
ছাত্র রবীন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনেন স্কুলের শিক্ষক। বিদ্যালয়ে ছাত্র সুলভ আচরণ ছিলনা তার। বিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার ছাত্র রবীন্দ্র সরকারকে চুলের মুঠি ধরে স্কুল চত্বর ঘোরানোর পাশাপাশি তার চুলও কেটে দেন বিদ্যাচক্র স্কুলের প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ দত্ত।
নিগৃহীত ওই ছাত্র তার ওপরে প্রধান শিক্ষকের এই অপমানসূচক ব্যবহার ও শাস্তির ছবি সোস্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেয়। প্রধানশিক্ষকের এই আচরণের শাস্তির দাবি নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। আজ নিগৃহীত ছাত্রের পরিবার ও অন্যান্য অভিভাবকেরা ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে স্কুলে এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। খবর পেয়ে স্কুলে ছুটে আসে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।