পয়লা বৈশাখে রাজ্যের দৈনিক করোনা গ্রাফ সাড়ে ৬ হাজার পেরিয়ে গেল, মৃত্যু বেড়ে ২২
পয়লা বৈশাখে রাজ্যের দৈনিক করোনা গ্রাফ সাড়ে ৬ হাজার পেরিয়ে গেল, মৃত্যু বেড়ে ২২
বাংলা নতুন বছরের শুরুতেই করোনার বড় ধাক্কা রাজ্যে। এক ধাক্কায় দৈনির আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৬ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। দৈনিক মৃেতর সংখ্যা ২২। বাড়ছে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা। দৈনির সুস্থতার সংখ্যার দ্বিগুণ প্রায় অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা হয়ে গিয়েছে রাজ্যে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৎপর হয়েছে প্রশাসন। নির্বাচন কমিশনও কোভিড বিধি মেনে প্রচারে কড়াকড়ি শুরু করেছে।
সংক্রমণে শীর্ষে কলকাতা
করোনা সংক্রমণ ফের ভয় ধরাচ্ছে রাজ্যে। কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যা সর্বাধিক। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় করেনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১,৬১৫ জন। শুধু মাত্র কলকাতাই মারা গিয়েছেন ৭ জন। কলকাতার পরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। এই জেলায় একদিনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১,৩৫৪ জন। একদিনে মারা গিয়েছেন ৬ জন। অর্থাৎ সংক্রমণ মৃত্যু দুই দিক থেকে কলকাতাকে কড়া টক্কর দিচ্ছে উত্তর ২৪ পরগনা। তুলনামূলক ভাবে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আক্রান্তের সংখ্যা কম। তবে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। অর্থাৎ করোনা সংক্রমণে মৃত্যুতে এই জেলা কলকাতা উত্তর ২৪ পরগনার কাছাকািছ রয়েছে।
দৈনিক সংক্রমণ ভয় ধরাচ্ছে
অন্যান্য রাজ্যের পথেই এবার হাঁটতে শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গও। কারণ গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬,৭৬৯ জন। অর্থাৎ কালকের মধ্যে সংখ্যাটা ৭ হাজার ছুঁয়ে ফেলতে পারে অনায়াসেই। রাজ্যে এখন মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬,৩০,১১১। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গিয়েছেন ২২ জন। রাজ্যে মোট মৃতের সংখ্যা ১০,৪৮০। দ্রুত বাড়ছে করোনা মৃত্যুর সংখ্যা। সুস্থতার হার ৯২.৫৫ শতাংশ।
করোনা মোকাবিলায় তৎপরতা
করোনা সংক্রমণ বাড়ছে জেনেও পয়লা বৈশাখের সকাল থেকেই দফায় দফায় প্রচার চালাচ্ছেন রাজনৈতিক দলের নেতা নেত্রীরা। শহরের রাজপথ থেকে জেলা সর্বত্র প্রচারে ঢল নেমেছে। মিটিং, মিছিল, রোড শো, জনসভায় উপচে পড়া ভিড়। করোনা বিধি তুড়িতে উড়িয়ে প্রচারে ঝড় তুলেছেন রাজনৈতিক দলের নেতা, নেত্রীরা। যদি নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে করোনা বিধি মেনে প্রচার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন সামশেরগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী।
ট্রেন বাতিল
করোনা সংক্রমণের কারণে হাওড়া িডভিশনে ১৬টি লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে প্রায় ৩০ জন চালক এবং ১০ জন গার্ড করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যার জেরে ১৬ টি ট্রেন বাতিল করতে হয়েছে। একাধিক টিটিও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা সংক্রমণ রুখতে কলকাতা বিমান বন্দরেও নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, কেরল ও তেলঙ্গানা থেকে কলকাতায় আসতে হলে ৭২ ঘণ্টা আগের করোনা রিপোর্ট নিয়ে আসতে হবে বলে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।