কালোবাজারি রুখতে ও বাজারে ভিড় এড়াতে সীমান্তের পঞ্চায়েত গুলিতে ন্যায্য মূল্যে চাল, ডাল, তেল
কালোবাজারি রুখতে ও বাজারে ভিড় এড়াতে সীমান্তের পঞ্চায়েত গুলিতে ন্যায্য মূল্যে চাল, ডাল, তেল
বসিরহাট মহকুমার বসিরহাট ১নং ব্লকের সাতটি পঞ্চায়েতে কালো বাজারী রুখতে ও ফঁড়ে দালালদেরকে দৈনন্দিন দ্রব্যের বাজারদরের থেকে দূরে রাখতে ন্যায্যমূল্যে চাল, ডাল ও সরষের তেল দেওয়া শুরু করলেন বসিরহাটের বিশিষ্ট সমাজসেবী বারিক বিশ্বাস ও উত্তর ২৪ পরগণা জেলা পরিষদের সদস্য শাহানুর মন্ডল।
ইতিমধ্যে বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকায় রীতিমতো ক্যাম্প করে ৫৫টন চাল ও কয়েকশো কুইন্টাল ডাল ছাড়াও কয়েকশো পেটি সরষের তেল বাজার থেকে রীতিমতো কম দামে ও ন্যায্যমূল্যে বসিরহাটের লক্ষাধিক মানুষের হাতে তুলে দিচ্ছেন তারা। সাধারণ মানুষের বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছেন দৈনন্দিন জীবনের রশদ। এছাড়া বিনামূল্যে প্রায় দশ হাজার স্যানিটাইজার ও সাবান দেওয়া হচ্ছে তাদের পক্ষ থেকে। সমাজের প্রত্যেক স্তরের মানুষের মধ্যে করোনার মতো মারণ রোগ সম্বন্ধে সচেতনতা বাড়াতে তাদের এই উদ্যোগ।
সবমিলিয়ে তাদের এই কাজের প্রশংসা করেছে বসিরহাটের সীমান্ত থেকে শুরু করে শহরতলির মানুষরা। দেশ তথা পৃথিবীর এই দুঃসময়ে যখন কিছু সুবিধাভোগী ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন দ্রব্য বিশেষ করে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে কালোবাজারি করছে, তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে তাদের এই ব্রত গ্রহণ করা। এর পাশাপাশি বসিরহাট ১ নম্বর ব্লকে প্রায় ২০০টি মসজিদের ইমাম সাহেবদের সঙ্গে বৈঠক করে সহমত পোষণ করে নামাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। করোনা নিয়ে সতর্কতা ও দেশব্যাপী লকডাউনের মধ্যে সমস্ত স্তরের মানুষের মধ্যে ন্যায্যমূল্যে খাদ্যদ্রব্য তুলে দেওয়ার দৃষ্টান্ত গড়লেন সমাজসেবী থেকে জনপ্রতিনিধিরা।
করোনা ভাইরাস নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যে পদক্ষেপ নিচ্ছে তার প্রশংসা করলেন সব্যসাচী দত্ত।পাশাপাশি কেন্দ্রের ও প্রশংসা করেন।
আনন্দ লোক হাসপাতালের সভাপতি হওয়ার কারণে আজ হাসপাতালের মালিক ডিকে শরফ এক সাথে তারা করোনা ভাইরাসের জন্য যারা গরীব পরিবার বাড়ি থেকে বেরোতে পারছে না তাদের কে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন।তারা অনন্দলোক হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে সল্টলেকের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে চাল ডাল আলু তেল চিনি দিয়ে সাহায্য করেন।এই কর্মসূচি চলবে বলে জানান তিনি।যেখানে যেখানে আনন্দ লোক হাসপাতাল আছে সেই সব জায়গাতেও চলবে এই কর্মসূচি।সঙ্গে ছিলেন সব্যসাচী দত্তের স্ত্রী।তাকে দেখা গেল যারা নিতে এসেছে তাদের ঠিক করে লাইনে দাঁড়াতে সাহায্য করছেন।
সব্যসাচী দত্ত জানান,শুধু রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকার করবেন এটা নয় আমাদের বিভিন্ন এনজিও সংস্থা থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে চাই।রাজ্যসরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকার যৌথ ভাবে প্রত্যেক মানুষের জন্য ও বঙ্গবাসীর জন্য যেভাবে প্রচেষ্টা করছেন এবং মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে রাস্তায় বেরিয়ে অনুরোধ করেছেন যে আপনার ঘর থেকে বেরোবেন না নিশ্চই এটা অভুত পূর্ব সারা পাওয়া গেছে ।