বাংলায় আংশিক লকডাউন! আরও একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা জারি করল নবান্ন
সারা দেশের মতো বাংলাতেও অব্যাহত করোনার চোখরাঙানি। গত ২৪ ঘন্টায় বাংলাতে করোনার সংক্রমণের নয়া রেকর্ড। স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজারেরও বেশি মানুষ। এই অবস্থায়
সারা দেশের মতো বাংলাতেও অব্যাহত করোনার চোখরাঙানি। গত ২৪ ঘন্টায় বাংলাতে করোনার সংক্রমণের নয়া রেকর্ড। স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজারেরও বেশি মানুষ। এই অবস্থায় বাংলায় আংশিক লকডাউন জারি করেছে নবান্ন। একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে নবান্নের তরফে।
শুক্রবার থেকেই কড়াকড়ি করা হয়েছে। সেই মতো শনিবার সকাল থেকেই কড়াকড়ি শুরু হয়েছে সর্বত্র। এরই মধ্যে সন্ধ্যায় আরও বেশি কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল। কার্যত আংশিক লকডাউনের সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল রাজ্য সরকার। যেখানে স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে সর্বোচ্চ ৫০ জনকে বিয়েবাড়ি বা সামাজিক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো যাবে। এর থেকে বেশী কোনও মানুষ থাকতে পারবে না বলে জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, বিয়েবাড়িতে আমন্ত্রিত প্রত্যেককে কড়াভাবে করোনা বিধি মেনে চলতে হবে। অবশ্যই স্যাটেনাইস, মাস্ক পড়তে হবে বলে জানানো হয়েছে নবান্নের তরফে দেওয়া নির্দেশিকাতে।
অন্যদিকে, কোন কোন দোকান কখন খোলা থাকবে তাও বিস্তারিতভাবে জানিয়েছে রাজ্য। পরিষ্কার করে বলা হয়েছে মুদিখানা, ওষুধের দোকানের পাশাপাশি দুধের দোকান, টেলি কমিউনিকেশনের দোকান, বিদ্যুৎ সামগ্রীর দোকান, পরিবহন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত দোকানের মতো অত্যাবশ্যকীয় প্রয়োজনে লাগে এমন জিনিস বিক্রি করা হয় যে সব দোকানে সেগুলো আংশিক লকডাউনের আওতায় আসবে না। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। শনিবারের দেওয়া বিজ্ঞপ্তি জানানো হয়েছে যে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিক্রি হওয়া দোকানের পাশাপাশি মিষ্টির দোকান, মাংসের দোকানও খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যের তরফে।
উল্লেখ্য, সম্পূর্ণ লকডাউনের পক্ষে নয় রাজ্য সরকার। সেই কারনে সাধারণ জনজীবন সম্পূর্ণ স্তব্ধ দিতে চায় না সরকার। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে কড়া সিদ্ধান্ত শুক্রবার নেয় রাজ্য সরকার। যেমন শপিং মল, বিউটি পার্লার, সিনেমা হল, রেস্তোরা, বার, স্পোর্টস কমপ্লেক্স, জিম, স্পা, সুইমিং পুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের। তবে হোম ডেলিভারি এবং অনলাইন পরিষেবাগুলি চালু থাকবে। সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা কিংবা বিনোদন সংক্রান্ত সমস্ত রকমের জমায়েতের উপর জারি করা হয় নিষেধাজ্ঞা।
আপাতত অনির্দিষ্টকালের জন্যেই এই নির্দেশিকা জারি থাকবে। অন্যদিকে রাত পোহালেই ভোটের ফলাফল। বাংলায় করোনার সংক্রমণ ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে। প্রত্যেকদিন সগক্রমণ ছাড়িয়ে গিয়েছে ১৭ হাজারে। এই অবস্থায় একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। বিজ্ঞপ্তিতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে যে, কমিশন যে নির্দেশিকা দিয়েছে তা মানতে হবে কড়া ভাবে।
শুধু তাই নয়, ভোটগণনা এবং ফল প্রকাশের পর সমস্ত মিছিল ও বিজয়োৎসবের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা মানার কথা বলা হয়েছে নবান্নের তরফে। গননা কেন্দ্রে জমায়েত করতে নিষেধ করা হয়েছে। কড়া এই নির্দেশিকা জারি করা হলেও বেঁধে দেওয়া সময়ের পরেও একাধিক বাজার খোল রয়েছে। চলছে অবাধে দোকান। যদিও এমন অবস্থায় কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে কলকাতা পুলিশ।