আশা জাগিয়ে বাড়ল রাজ্যের সুস্থতার সংখ্যা, রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্ত সাড়ে ৪ লক্ষ ছুঁই ছুঁই
মোট আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে লক্ষ ছুঁই ছুঁই পশ্চিমবঙ্গে। করোনা সংক্রমণের পরীক্ষা বড়ানোয় বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে রাজ্যে। গতকাল সুস্থতার সংখ্যা অনেকটাই বেশি ছিল। তুলনামূলক ভাবে ১৯ নভেম্বর সেই সংখ্যা কমেছে। সংক্রমণে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। উত্তর ২৪ পরগনায় কিছুটা হলেও কমেছে। শুধু মাত্র কলকাতা শহরে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ ছুঁই ছুঁই অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছে।

দৈনিক সংক্রমণে শীর্ষে কলকাতা
করোনা ভাইরাসে দৈনিক সংক্রমণে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। গত ২৪ ঘণ্টায় শুধুমাত্র কলকাতায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৮২ জন। তুলনামূলক ভাবে উত্তর ২৪ পরগনায় করোনা সংক্রমণ কমেছে গত ২৪ ঘণ্টায়। আক্রান্ত হয়েছেন ৮৩৩ জন। পুজোর পর কলকাতায় করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। অন্যদিকে আবার দৈনিক সংক্রমণে হাওড়াকে পিছনে ফেলেছে হুগলি।

মোট সংক্রমণ সাড়ে ৪ লক্ষের কাছে
রাজ্যের মোট করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ সাড়ে চার লক্ষের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬২০ জন। যার জেরে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪,৪৫,৫০৫ জন। সুস্থতার সংখ্যাও কমেছে গত ২৪ ঘণ্টায়। গতকাল যেখানে সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন ৪৪২৯ জন। সেখানে আজ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন ৩৯৯০ জন।

পরীক্ষা বাড়ল
করোনা নিয়ন্ত্রণে ফের পরীক্ষা বাড়িয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। তাই সংক্রমণও বাড়তে শুরু করেছে। উৎসবের শেষ পর্যায়ে এসেও ভাবাচ্ছে দৈনিক সংক্রমণ বৃদ্ধি। যদিও রাজধানী দিল্লির তুলনায় পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা অনেকটাই ভাল। লোকাল ট্রেন চালু হয়েছে। আরও ১০ থেকে ১৫ দিন পর তার প্রতিফলন দেখা যাবে রাজ্যের করোনা গ্রাফে এমনই মনে করছেন চিকিৎসকরা।

নতুন বছরেই ভ্যাকসিন
আগামী ৪-৫ মাসের মধ্যেই দেশবাসীর হাতে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন চলে আসবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। এদিকে বড়দিন ও নিউ ইয়ার ইভের সময় মহারাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসের সেকেন্ড ওয়েভ আসবে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। দিল্লি ইতিমধ্যেই থার্ড ওয়েভের ধাক্কায় কাবু। ফের লকডাউনের পথে হাঁটা হবে কিনা তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে কেজরিওয়াল সরকার।