স্বস্তি জনক রাজ্যের করোনা গ্রাফ, এক দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৩০১৮ জন
স্বস্তি জনক রাজ্যের করোনা গ্রাফ, এক দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৩০১৮ জন
গোটা দেশের সঙ্গে বাংলার করোনা গ্রাফও নিম্নমুখী। আশা জাগিয়ে আরও কমল দৈনিক করোনা সংক্রমণ। সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৯৭.৩৪ শতাংশ। কমেছে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩০১৮ জন। মারা গিয়েছেন ৬৪ জন। করোনা কাটিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২০৩৩ জন। কন্টেইনমেন্ট জোন করে কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে রাজ্যের একাধিক জায়গায়।
কমছে সংক্রমণ
করোনা সংক্রমণ কমছে কমছে রাজ্যে। রাজ্যে করোনা ধাক্কা সামাল দিয়ে ফেলেছে প্রায়। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের দুই সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রামক জেলা দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং কলকাতায় করোনা সংক্রমণ অনেকটাই কমেছে। গোটা রাজ্যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েেছন ৩০১৮ জন। কমছে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যাও। তবে এখনই স্বস্তি পাওয়ার বিষয় নেই। পূর্ব মেদিনীপুরে করোনা গ্রাফ এখনও ভাবাচ্ছে।
দুই জেলা ভাবাচ্ছে
উত্তর ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে এখন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি। উত্তর ২৪ পরগনায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৪৩১ জন। পূর্ব মেদিনীপুরে একদিনে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে ৪২৬। উত্তর ২৪ পরগনাতে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ মারা গিয়েছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে।
কন্টেইনমেন্ট জোন
করোনা কড়া হাতে দমন করতে মরিয়া রাজ্য সরকার। কন্টেইনমেন্ট জোন করে কড়া বিধিনিষেধ জারি করা হচ্ছে। গতকালই রাজ্যের মুখ্য সচিব জেলা শাসক ও কলকাতা পুরসভাকে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে। যেভাবেই হোক করোনা সংক্রণে নিয়ন্ত্রণে কন্টেইনমেন্ট জোন করে কড়া বিধিনিষেধ বহাল করতে হবে। তবেই করোনা নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে।
আসছে থার্ড ওয়েভ
করোনার থার্ড ওয়েভ আসন্ন প্রায়। এতে শিশুদের বেশি সংক্রমিত হওয়ার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু আইসিএমআর প্রধান দাবি করেছে করোনার থার্ড ওয়েভে শিশুদের তেমন সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে আগামী ২ থেকে ৩ সপ্তাহের মধ্যে মহারাষ্ট্রে করোনার থার্ড ওয়েভ শুরু হয়ে যাবে বলে জানানো হয়েছে। তার জন্য মহারাষ্ট্র সরকারকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।